এমবাপ্পে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জেতার কারণ

স্পোর্টস ডেস্ক : ভিক্টর ইয়োকেরেস ও মোহাম্মদ সালাহকে পেছনে ফেলে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ ঘরোয়া লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রথম মৌসুমেই অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের প্রথম এই পুরস্কার জিতে নেন ফরাসি স্ট্রাইকার।
নাপোলির সিরি ‘আ’ জয়ের মধ্য দিয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন দল নির্ধারণ হয়ে গেছে। শীর্ষ পাঁচ লিগের মৌসুমও শেষ হয়ে গেছে।
মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ ম্যাচে জোড়া গোল করে নিজেকে প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান এমবাপ্পে। যা একটু লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সালাহ। কিন্তু শেষমেশ এমবাপ্পের সঙ্গে পেরে ওঠেননি।
রিয়াল মাদ্রিদের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জয় করলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার আগে হুগো সানচেজ (১৯৮৯-৯০) এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (২০১০-১১, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫) এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
প্রতিটি মৌসুমে ইউরোপের প্রতিটি দেশের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি গোল করেন, তাঁকে দেওয়া হয় সোনার জুতা। এই পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক নাম ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।
গোলসংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট লিগের মানের ওপর ভিত্তি করে পয়েন্ট হিসাব করা হয় ।
ইউরোপে সবগুলো লিগ মিলিয়ে গোলের জন্য সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যে পান ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু তাঁকেই দেওয়া হয়।
এমবাপ্পে স্প্যানিশ লা লিগায় নিজের অভিষেক মৌসুমেই করেছেন ৩১ গোল। নতুন নিয়মে উয়েফা ক-এফিসিয়েন্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচ লিগে করা প্রতিটি গোলকে ২ দিয়ে গুণ করে পয়েন্ট দেওয়া হয়। লা লিগা যেহেতু র্যাঙ্কিংয়ের তিনে আছে, তাই এমবাপ্পে ৩১ গোলের দ্বিগুণ ৬২ পয়েন্ট পেয়েছেন।
আরও পড়ুনএমবাপ্পের চেয়ে ৮টি বেশি গোল করেও সুইডেনের স্ট্রাইকার স্পোর্তিং সিপির ভিক্টর ইয়োকেরেস ৫৮.৫ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়। এবারের পর্তুগিজ লিগে করেছেন ৩৯ গোল।
পর্তুগিজ লিগ উয়েফা কো-এফিসিয়েন্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে থাকা। ৬ থেকে ২২ র্যাঙ্কের লিগের গোলগুলোকে যে ১.৫ দিয়ে গুণ করা হয়। সেই হিসাবে ইয়োকেরেসের পয়েন্ট ৫৮.৫।
লিভারপুলের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতা মোহাম্মদ সালাহ তৃতীয় হয়েছেন। মিসরীয় এই তারকা এবারের লিগে ২৯ গোল করে পেয়েছেন ৫৮ পয়েন্ট। তাঁর দলের শেষ ম্যাচটি হয়েছে গত রাতে। অ্যানফিল্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করেছে লিভারপুল। দলের একমাত্র গোলটি সালাহই করেছেন।
তবে এমবাপ্পেকে টপকে সোনার জুতা জিতলে হলে কাল কমপক্ষে ৪ গোল করতে হতো সালাহকে। হ্যাটট্রিক করতে পারলে এমবাপ্পের সমান ৬২ পয়েন্ট হতো সালাহর। সে ক্ষেত্রেও সোনার জুতা এমবাপ্পেই জিততেন।
কারণ, নিয়ম অনুযায়ী একাধিক খেলোয়াড়ের পয়েন্ট সমান হলে যিনি কম সময় খেলেছেন, তিনিই পুরস্কারটি জিতবেন। এমবাপ্পে লা লিগার এবারের মৌসুমে খেলেছেন ২৯১২ মিনিট, সালাহ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩৩৭৭ মিনিট। তাই এমবাপ্পেকে টপকে সোনার জুতা জিততে হলে সালাহর হাতে ‘অপশন’ ছিল একটাই—ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ৪ গোল করা।
পেশাদার ক্যারিয়ারে সালাহ এক ম্যাচে ৪ গোল করেছিলেন দুবার—২০১৮ সালে লিভারপুলের হয়ে এবং ২০২৩ সালে জাতীয় দল মিসরের হয়ে। তবে কাল ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে সেটির পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি।
মন্তব্য করুন