স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত
মৌসুমের সর্বোচ্চ প্রায় ৭৪ মি.মি বৃষ্টিপাতে ডুবলো বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তা

স্টাফ রিপোর্টার : গত ২৪ ঘন্টায় বগুড়ায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল রোববার রাত ৯টা থেকে আজ সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৭৩ দশমিক ৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
বৃষ্টির মাত্রা বেশি হওয়ায় বগুড়া শহরের বেশিরভাগ রাস্তায় পানি জমে যায়। বিশেষ করে সকালের ঝুম বৃষ্টির পানিতে ভাসতে দেখা গেছে বগুড়ার সাতমাথা, বাদুরতলা, টিনপট্টি, সেউজগাড়ী, সবুজবাগ, গোহাইল রোডসহ শহরের বেশ কিছু এলাকাসহ রাস্তাঘাট। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল-কলেজ ও অফিসের জন্য বের হওয়া মানুষ জন।
তবে বৃষ্টির পানি যেসব এলাকার রাাস্তাঘাট ডুবে গেছে সেইসব এলাকার অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজে বের হতে পারেননি দুপুর পর্যন্ত। এদিকে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির পূর্বাভাসে জানিয়েছেন এই বৃষ্টি থেমে থেমে চলবে আরও কয়েকদিন।
আষাঢ় মাসের শুরুতে বৃষ্টির দেখা না মিললেও এখন এসে ধরা দিল যেন বর্ষা। গত কয়েকদিন হলো আকাশ মাঝে মাঝে মুখ ভার করে থাকলেও পরেক্ষণেই আবার হেসে উঠে আকাশ। এরমাঝেই একটু একটু বৃষ্টির দেখা মিললেও স্বস্তি মিলেনি। গতকাল রোববার রাত ৯টা থেকে আজ সোমবার (১৯ মে) সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৭৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, আজও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুনবগুড়ার সবুজবাগ এলাকার বেসরকারি কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন জানান, এমন এক এলাকায় গত জানুয়ারি মাসে ভাড়া নিয়েছি যেখানে আকাশে মেঘ ডাকলেই রাস্তায় পানি জমে। সেখানে আজ সোমবার (১৯ মে) ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত বিল্ডিংয়ের বেশিরভাগ মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারেননি। ছেলেমেয়েরাও স্কুলে যেতে পারেনি পানি ঠেলে। একটা স্থায়ী সমাধান দরকার এসব এলাকার। ভাবছি সামনের মাসে বাড়ি ছেড়ে দেবো।
এদিকে বৃষ্টিপাতের জন্য সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছিলেন বৃষ্টির বিরতিকালে ছাতা না নিয়ে বের হওয়া মানুষ। প্রয়োজনীয় কাজ সারতে যারা শহরে বের হয়েছিলেন তারা হঠাৎ করেই বৃষ্টির কবলে পড়েন। অনেককেই বৃষ্টির মধ্যেই ভিজতে ভিজতে চলতে দেখা গেছে। আবার অনেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন কেউ ছাতার নিচে, কেউ আশেপাশের বিল্ডিংয়ের নিচে, নয়তো কেউ কেউ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশার মধ্যে বসে ভিজছিলেন।
ক’দিন থেকে রাস্তা ঘাটে যানবাহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় যারা আছে তারা বেশি বেশি ভাড়া আদায় করছে। এরই মধ্যে ভাল ব্যবসা করছে ছাতা এবং রেইনকোটের ব্যবসায়ীরা। যে ছাতার দাম ক’দিন আগেও ৩শ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকা ছিল সেই ছাতার দাম প্রতিটিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
বগুড়ার আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। আজও সারা দিন বৃষ্টি হবে। চলবে আরও কয়েকদিন। বৃষ্টির কারণে আজ সোমবার (১৯ মে) তাপমাত্রা ৩২ দশমিক ৫ থেকে কমে ৩১ ডিগ্রিতে নেমেছে।
মন্তব্য করুন