পাবনার সুজানগরে ভাল ফলাফল অর্জনে শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীল

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সুজানগরের অধিকাংশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল অর্জন করতে প্রাইভেট শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। প্রাইভেট পড়া ছাড়া ভাল ফলাফল অর্জন করা যেন কোনভাবেই সম্ভব নয়। ফলে তারা প্রাইভেট শিক্ষকদের কাছে ধর্না দিচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে অর্ধশত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয়ের মধ্যে খুব কম বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে সন্তোষজনক লেখাপড়া হয়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে তেমন লেখাপড়া হয় না। ফলে ওই সব বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১২মাস প্রাইভেট পড়ে থাকে।
আর এর মধ্যে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদের ফাইনাল পরীক্ষার আগ পর্যন্ত অর্থ্যাৎ ১২মাসসহ মোট ১৪ মাস প্রাইভেট পড়তে হয়। অন্যথায় তারা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারে না। অভিভাবকরা জানায়, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩/৪ জন করে শিক্ষক আছেন যারা উপজেলায় ভাল প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে বেশ পরিচিত।
তারা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট পড়াতেই বেশি আগ্রহী। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষক আবার শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলের জন্য প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করেন। ফলে অভিভাবকরা নিরুপায় হয়ে তাদের সন্তানের ভাল ফলাফলের জন্য ওই সকল শিক্ষকদের কাছে ধর্না দেন।
আরও পড়ুনএকাধিক অভিভাবক বলেন, অধিকাংশ প্রাইভেট শিক্ষক তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের আশপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে আবার কেউ বা বাড়িতে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সুব্যবস্থা করে রেখেছেন। তারা সরকারি নিয়ম-কানুনকে উপেক্ষা করে সকালে এবং বিকেলে শ্রেণিকক্ষের ন্যায় প্রতি ব্যাচে ৩০ থেকে ৪০ জন করে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন।
বিশেষ করে অংক এবং ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট পড়াতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোলায়মান হোসেন বলেন, প্রাইভেট এবং কোচিং বাণিজ্যের এ চিত্র দেশ ব্যাপি। সুতরাং ওই বাণিজ্য বন্ধে প্রয়োজন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ।
মন্তব্য করুন