প্রোটিয়াদের উড়িয়ে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সিরিজ জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি হলো লো-স্কোরিং। ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২২৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩৮.২ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে ৩৪ রানের দুর্দান্ত এক জয়ের সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে সিরিজটাও নিজেদের করে নেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের দেওয়া ২২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চোখে শর্ষেফুল দেখে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ২১.২ ওভারে ৯৪ রান তুলতেই তাদের ৭ ব্যাটারের ঠাঁই হয় সাজঘরে।
তবে ৯ নম্বরে নামা মোকোয়েনা ও মিডল অর্ডার ব্যাটার তিয়ান মাইকেল ফন ফুরেন দলের বিপর্যয়ে কিছুটা হাল ধরেন। অষ্টম উইকেটে তারা গড়েন ৫৪ রানের জুটি। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা এই জুটি ভেঙে দেন শেখ পারভেজ জীবন। ৩০তম ওভারের শেষ বলে ফুরেনকে কট এন্ড বোল্ড করে জুটি ভাঙেন জীবন। ৩৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় ফুরেনকে।
তাতেও পুরোপুরি দমে যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। নবম উইকেটে মোকোয়েনা-এনটুলির জুটি থেকে স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয় আরও ৪২ রান। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে এনটুলিকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন স্পিনার রাকিবুল।
এরপর আর বেশিদুর এগোতে পারেনি প্রোটিয়ারা ৩৮.২ ওভারে মোকোয়েনা রানআউট হলেই সাঙ্গ হয় সফরকারীদের প্রতিরোধ।
বাংলাদেশের পক্ষে রাকিবুল ১০ ওভারে দুটি মেডেন দিয়ে ২৬ রান খরচায় শিকার করেন৪ উইকেট। মাহফুজুর রহমান রাব্বি, ওয়াসি সিদ্দিকীর ঝুলিতে গেছে দুটি করে উইকেট। জীবন নিয়েছেন এক উইকেট।
আরও পড়ুনএর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটাও হয় দুঃস্বপ্নের মতো। ৩১.২ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৮ রানে পরিণত হয় দলটি। এমন অবস্থায় স্কোরবোর্ডে ২০০ রান জমা করাই যখন দূরের পথ, তখন হাল ধরেন রাকিবুল ও রাব্বি। নবম উইকেটে তারা গড়েন ৮৪ রানের জুটি গড়েন। ৪০ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রান করেন রাকিবুল।
৪৫.৫ ওভারে ২২৫ রানে অলআউট হওয়ার আগে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস আসে রাব্বির ব্যাটে। ৭৭ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সেসোনা সেপো এনদোয়ান্দা নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ফুরেন পেয়েছেন ২ উইকেট।
ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ ম্যাচসেরার খেতাব জিতেছেন রাকিবুল।
মন্তব্য করুন