বগুড়ার শেরপুরে ধান কাটামাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষান কৃষাণীরা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুরে টানা কয়েক দিনের রোদের কারণে কৃষকেরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন, যদিও বা প্রচন্ড রোদ আর গরমে হাপিয়ে উঠছেন সেদিকে তাকানোর ফুসরোত নেই তাদের। গত কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড রোদ পড়েছে, যা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করেছে। কৃষকেরা মাঠে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। উপজেলার সর্বত্রই সোনালী ধানের শীষে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত চারিদিক।
ইরি-বোরো মৌসুমের ধান ঘরে উঠাতে কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কৃষক-কৃষাণীরা। এ বছর ব্রিআর-২৮,২৯ ও ৪৮, সুবল লতা, কাটারী, মিনিকেট ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ করেছে চাষিরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানে তেমন কোনো রোগবালাই হয়নি। এছাড়া ফলনও হয়েছে ভালো। এবার বাম্পার ফলনের আশা চাষিদের।
চাষিরা আরো জানান, সার, কীটনাশক, জ্বালানি তেল ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সে হিসেবে জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে উঠানো পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্র্রতি ফলন হচ্ছে ২২-২৬ মণ। বাজারে ভালো দাম পেলে লাভবান হতে পারবেন তারা।
আরও পড়ুনউপজেলার জামাইলের কৃষক আকবর আলী বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। ধানে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। এ কারণে কীটনাশকের খরচও কম হয়েছে। সাগরপুরের কৃষক পরেশ জানান, তার ১০ বিঘার মধ্যে ৮ বিঘার ধান কাটা শেষ হলেও বাকি জমির ধান পুরোপুরি পাকেনি।
কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ধান পাকছে, এভাবে আর কয়েকদিন বৃষ্টি ঝড় তুফান না হলে সহি সালামতে কাটা ও মাড়াই শেষ হবে। বৃষ্টি হলে জমিতে কিছু কাদাপানি জমে, খরচ বাড়ার পাশাপাশি খড় শুকাতে অসুবিধা হয়।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, এবার এখন পর্যন্ত অন্য বছরের তুলনায় পরিস্থিতি ও আবহাওয়া ভালো আছে। আর ১৫ দিন পাওয়া গেলে সব ধান গোলায় তুলতে পারবেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, উপজেলার আবহাওয়া পরিস্থিতি এখনো ভালো, কৃষকেরা নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় তোলার কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন