ভিডিও সোমবার, ১২ মে ২০২৫

মা দিবস

ভারতীয় সিনেমার সেরা ৭ জন ‘মা’

ভারতীয় সিনেমার সেরা ৭ জন ‘মা’

binodo পৃথিবীর ইতিহাসে বহু সিনেমায় উঠে এসেছে মায়েদের ভালোবাসা, লড়াই, ত্যাগ ও সংগ্রামের গল্প। ভারতীয় সিনেমায় মায়ের চরিত্রকে কেন্দ্র করে এমন কিছু সিনেমা এসেছে, যা শুধু গল্প নয়—মনের গভীরে দাগ রেখে গেছে দর্শকদের। পর্দায় কখনও মা হয়েছেন লড়াকু, কখনও নীরব আশ্রয়।

এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো এমন ৭টি বলিউড সিনেমা, যেখানে মায়ের চরিত্র দর্শককে শুধু কাঁদায় না, ভাবায়ও। সেই সঙ্গে একজন শক্তিশালী মায়ের প্রতিচ্ছবি রেখে যায় দর্শক হৃদয়ে।

১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় ‘মাদার ইন্ডিয়া’। নার্গিস তখনো নায়িকা। কিন্তু এ সিনেমায় মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। সিনেমায় তার চরিত্রের নাম রাধা। তার পুত্র বিরজুর নাম ধরে চিৎকার করার দৃশ্যটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম আইকনিক দৃশ্য। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে মাদার ইন্ডিয়া একটি মাইলফলক। মাটির কাছের মানুষের কথা যেন বলে এ সিনেমা। সেখানে নার্গিস দত্তের অভিনয় নতুন করে চিনিয়েছিল ভারতীয় মায়েদের। কিংবা বলা জলে মায়ের স্পিরিট ধরেছিল এ সিনেমা।

ভারতীয় সিনেমা দিওয়ার মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৫ সালে। যশ চোপড়া পরিচালিত এ সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নিরূপা রায়। পর্দায় মায়ের ভূমিকায় এক অনন্য মাত্রা যুক্ত করেছিলেন তিনি। এ সিনেমায়ও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। এতে তার চরিত্রের নাম সুমিত্রা। সব সামাজিক বেড়াজালকে অস্বীকার করে তিনি যেভাবে তার সন্তানের জন্য নিজের ভালোবাসাকে চিত্রায়িত করেছেন, তা এক কথায় অবিস্মরণীয়। এ সিনেমায় মাকে কেন্দ্র করে অমিতাভ বচ্চনকে উদ্দেশ্য করে বলা শশী কাপুরের ‘মেরে পাস মা হ্যায়’ সংলাপটির কথা এখনো দর্শকদের মুখে ফেরে।

‘‌বাহুবলী’ সিনেমায় রাজমাতা শিবগামী দেবীর কথা মনে আছে? এ চরিত্রে রামায়া কৃষ্ণানের অভিনয় আঞ্চলিক সীমানার গণ্ডি পেরিয়ে ভারতজুড়ে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। বাহুবলীর রাজমাতা কেবল একজন মা নন, তিনি রাজনীতির প্রধান। কিন্তু তিনি রাজনীতির বাইরে নিজেকে নিয়ে এসে পরিণত হন সত্যিকার মা হিসেবে। রাজমাতার এ চরিত্রের মাধ্যমে রামায়া যেন এ শতকে এসেও আবহমানকালের ভারতীয় মাকে ফিরিয়ে আনলেন। যদিও তিনি তার সবচেয়ে প্রিয় সন্তানকে বুঝতে ভুল করেন। তবে সিনেমার মুল অর্থে, গোটা সাম্রাজ্যের রানী হিসেবে যেভাবে তিনি সন্তানদের সমানভাবে গড়ে তুলেছেন, তা সিনেমার গল্পকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

২০০২ সালে মুক্তি পায় ‘শক্তি: দ্য পাওয়ার’। এ সিনেমায় কারিশমা কাপুর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। তার চরিত্রের নাম নন্দিনী। সিনেমায় তার সন্তানকে সব খারাপ দিক থেকে আগলে রেখে তিনি বলিউডে বীরত্বের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ সিনেমায় কারিশমা কাপুরের অভিনয় দর্শক হৃদয়ে যেমন ঝড় ‍তুলেছে, তেমনি প্রশংসা কুড়িয়েছে সমালোচকদেরও।

২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মম’ সিনেমায় দেবকী সবরওয়াল চরিত্রে অভিনয় করেন শ্রীদেবী। এ সিনেমায় তিনি একজন মা হিসেবে তার যৌন হয়রানির শিকার হওয়া মেয়ের জন্য প্রতিশোধ নিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করে নেন। অভিনেত্রী হিসেবে ভারতীয় সিনেমায় অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা রয়েছে শ্রীদেবীর। তবে ‘মম’-এর শ্রীদেবীকে দর্শকরা মনে রাখবে চিরকাল।

আরও পড়ুন

হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় ৪০০’র বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন শ্রীদেবী। তাকে ভারতের প্রথম লেডি সুপারস্টার বলা হয়। তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন না এমন দর্শক পাওয়া মুশকিল। কিন্তু তিনি জীবদ্দশায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি। এই ‘মম’ সিনেমাতে অভিনয় করেই তিনি সেই পুরস্কার পান, তবে তার মৃত্যুর পর!

‘সিক্রেট সুপারস্টার’ নির্মিত হয়েছে ইনসিয়া মালিক নামে এক কিশোরীর গল্প নিয়ে। সাধারণ একটি পরিবারে বেড়ে ওঠা ইনসিয়া বড় বড় স্বপ্ন বুনে চলে। বাবা-মা, ভাই, দাদিকে নিয়ে ভারতের ছোট একটি শহরে তার বসবাস। পড়াশোনার পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের ইনসিয়া তার মাকে ঘরের কাজেও সাহায্য করে। সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও গায়িকা হওয়ার অসাধারণ স্বপ্ন দেখে সে। মাত্র ৬ বছর বয়সে গিটার বাজানো শেখে। একপর্যায়ে ইনসিয়া তার স্বপ্নপূরণ করে। মেয়ের স্বপ্নপূরণে গোপনে এগিয়ে আসে তার মা। এই ইনসিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাইরা ওয়াসিম। সিনেমাটিতে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন মেহের ভিজ। তার অভিনয় সিনেমার গল্পকে এক ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। দারুণ প্রশংসিত হন মেহের ভিজ।

স্টেজ ড্যান্সার মিমি রাঠোরের গল্প নিয়ে এগিয়েছে ‘মিমি’ সিনেমার কাহিনি। যে স্বপ্ন দেখেন বলিউডের নায়িকা হওয়ার। একদিন বানু নামে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার মার্কিন এক দম্পতির সঙ্গে মিমিকে পরিচয় করিয়ে দেয়। এই দম্পতি সারোগেসির (অন্য নারীর গর্ভ ভাড়া করে সন্তানের বাবা-মা হওয়া) মাধ্যমে সন্তান চান। আর এই প্রস্তাব দেওয়া হয় মিমিকে। বিনিময়ে তাকে ২০ লাখ রুপি দেবেন। মিমি রাজি হয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে। কিন্তু একপর্যায়ে মার্কিন দম্পতি মিমিকে গর্ভপাতের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাতে রাজি হন না মিমি। সন্তানকে জন্ম নিয়ে আগলে রাখেন।

এটি কৃতির ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমা হিসেবেই ধরা হয়। সন্তানকে আগলে রাখতে সমাজ ও স্বার্থপর মানুষদের বিরুদ্ধে একজন মায়ের লড়াই ফুটে ওঠে এ সিনেমায়। দর্শক প্রশংসার পাশাপাশি অনেক পুরস্কারও পেয়েছে মিমি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে হাত-পা গুটিয়ে থাকলে চলবে না : প্রধান উপদেষ্টা

ভারতের ছত্তিশগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩

বিডিআরের ৪০ জওয়ানের জামিন মঞ্জুর

‘ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

রিয়াল মাদ্রিকে হারিয়ে এল ক্লাসিকো জিতেছে বার্সেলোনা