রাজবাড়ীতে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
_original_1746285489.jpg)
পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজবাড়ীর পাংশায় যুবদল কর্মী রাশিদুল ইসলামকে (৩৩) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার ( ৩ মে )সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালায়। দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রাশিদুলের।
রাশিদুল পাট্টা ইউনিয়নের উত্তর পাট্টা গ্রামের কিয়ামউদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। রাজনৈতিকভাবে তিনি পাট্টা ইউনিয়ন যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধান কাটার কাজে এক মাস আগে বরিশাল যান রাশিদুল। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে ট্রাকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরেন। আজ সকালে ধান ভাগ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে সকাল ১০টার দিকে নিভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশিদুলের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন
রাশিদুলের স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ধান কেটে এক মাস পর বাড়ি ফিরেছিল। সকালে ধান ভাগ করতে যাচ্ছিল, তখনই ওর ওপরে হামলা করে। যারা আমার স্বামীকে মারলো তাদের বিচার চাই। এখন আমি দুই সন্তান নিয়ে কী করব?’
পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম মুরাদ বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষ সাবেক এমপি নাসিরুল হক সাবুর এবং আরেকপক্ষ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হরুন অর রশিদের অনুসারী। রাশিদুল সাবু গ্রুপের কর্মী ছিলেন, আর হামলাকারীরা হরুন গ্রুপের। তাকে যারা মেরেছে তারা আগেও ওর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। রাশিদুলকে না পেয়ে ওর বাবা-মাকে পিটিয়ে আহত করে। আজ সকালে হারুণ গ্রুপের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করল। আমরা এলাকার লোকজন এই হত্যার বিচার চাই।’
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেব্রত সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। হামলাকারীদের শনাক্তের পাশাপাশি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন