শরীয়তপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

মফস্বল ডেস্ক : শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে ৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। প্রায় চার বছর আাগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা। ওই সময় পুরানোর বিরোধ আরও চাঙা হয়। গত ৫ আগস্টের পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকরা আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় অন্তত শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয়পক্ষের লোক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে অনেকের হাতে বালতি ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। পরে সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে বিলাচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী বলেন, গত তিন চারদিন ধরে ওই এলাকায় ঝামেলা চলছে। বিষয়টি আমি বারবার থানায় জানিয়েছি। শনিবার সকালে সলাউদ্দিন মাস্টার ও জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জলিল মাদবর ও সালাউদ্দিন মাস্টারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সফল হওয়া যায়নি। এতে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন