ভিডিও শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রংপুরের বদরগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ২০ হাজার মানুষের পারাপার

রংপুরের বদরগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ২০ হাজার মানুষের পারাপার

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের বদরগঞ্জে তিন বছর আগে একটি সেতুর অর্ধেক ভেঙে পড়ায় স্থানীয় মানুষজন নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন সংযোগ সেতু। সেটিও এখন নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে পারাপার করছেন পাঁচ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

জানা যায়, ১৭ বছর আগে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের দিলালপুর বিন্দিরধর এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় ধোধরা নদীর ওপরে মানুষজনের চলাচলের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ওই সেতু দিয়ে ওই এলাকার পাঁচ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু বছর তিনেক আগে বন্যার পানির তোড়ে সেতুটির অর্ধেক ভেঙে যায়।

তখন স্থানীয় লোকজন চলাচলের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সেখানে কোনরকমে একটি সাঁকো নির্মাণ করেন। কিন্তু ওই সাঁকো দিয়ে কিছু মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করলেও বেশিরভাগ মানুষই সেটি দিয়ে পারাপার করার দুঃসাহস দেখাননি।

এ অবস্থায় দিশেহারা মানুষজন সেতু নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় জনপ্রতিধিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিলেও তাতে কোন কাজ হয়নি। তবে গত সংসদ নির্বাচনের আগে দু’জন সাবেক সংসদ সদস্য ও সেসময়ের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনিছুল ইসলাম মণ্ডল ও ডিউক চৌধুরী সাঁকো নির্মাণের জন্য যথাক্রমে ১০ হাজার ও ৬ হাজার টাকা প্রদান করেন।

আরও পড়ুন

সেসময় তারা দু’জনই নির্বাচিত হওয়ার পর সেতুটি পুননির্মাণের প্রতিশ্রুত দেন। এরপর এলাকার লোকজন নিজেরাই চাঁদা দিয়ে আরও কিছু টাকা জোগাড় করে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ করেন। বর্তমানে সেটিও নড়বড়ে হয়েছে। ফলে এলাকার কিছু মানুষ হেঁটে হেঁটে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করলেও যানবাহন নিয়ে পারাপার করার সাহস দেখান না। আবার বেশিরভাগ মানুষই সাঁকোর নিচ দিয়ে যাতায়াত করছেন।

তবে জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন নিয়ে বের হতে চাইলে মানুষজনকে ৫ কিলোমিটার ঘুরে মূল রাস্তায় উঠতে হয়। সরেজমিন এলাকা পরিদর্শনকালে কথা হয় কাচি পাড়ার বাসিন্দা মনসুর আলীর সাথে। তিনি বলেন, সাঁকোর খুটিগুলো নড়বড়ে হওয়ায় এপাশ ওপাশ দুলছে। এছাড়া সাঁকো দিয়ে হাঁটলে পাতাটনে থাকা বাঁশগুলো হঠাৎ সরে যায়। বর্তমানে নদীতে পানি থাকায় এলাকার লোকজন ভয়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার না করে নিচ দিয়ে চলাচল করছেন।

এব্যাপারে রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকের ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী হারুন উর রশিদ বলেন, আমি নতুন মানুষ। বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি সর্বপ্রথম সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। তাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটি নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবি ক্যারিয়ার ক্লাবের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কাঁঠাল পাড়তে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজনের মৃত্যু

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভটভটি উল্টে চালক নিহত

টিকটকে পরিচয় থেকে বিয়ে, অতঃপর ...

বগুড়ার আদমদীঘিতে ১০ টাকা কেজির মরিচ ১১ দিনের ব্যবধানে হাঁকালো ডাবল সেঞ্চুরি

ফের আলোচনায় ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্প