ভিডিও রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

যমুনা রেলসেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

যমুনা রেলসেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

জয়নাল আবেদীন জয়, সিরাজগঞ্জ : যমুনা রেলসেতু দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে যাত্রীবাহী ট্রেন। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সিল্কসিটি ট্রেন সেতু পার হওয়ার মধ্যদিয়ে এ যাত্রা শুরু হলো এবং ঢাকার সাথে দ্রুত সময়ে উত্তরবঙ্গের নতুন রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলো।

আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি ট্রেনটি সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। পরে সেটি ১১টা ১২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ১১ টা ১৮ মিনিটে নবনির্মিত যমুনা রেলওয়ে সেতু পার হয়ে পূর্ব পার ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে ১১ টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছায়। পরে ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি দেয় ট্রেনটি।

যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সেতুর দুটি লাইনের মধ্যে একটি লাইনে আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হলো। পর্যায়ক্রমে শিডিউল অনুযায়ী বাকি ট্রেনগুলো চলবে। ফলে পার্শ্ববর্তী যমুনা সড়ক সেতু দিয়ে আর ট্রেন চলবে না। তিনি আরও জানান, রেলসেতুতে দুটি লাইন থাকলেও একটি লাইন দিয়েই উভয়দিকে ট্রেন চলাচল করবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে যেতে ডান পাশের লাইন, অর্থাৎ সেতুর উত্তর পাশের লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সাথে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হতো। এ সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

যমুনা বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে সরকার। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেল সেতুরটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ২০২১ সালের মার্চে রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।
প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়।

এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। দেশের বৃহত্তর এ রেলসেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই। রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী,সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের এ রেলসেতু ব্যবহারের জন্য ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নামকরণ করা হয় যমুনা রেলসেতু।

এই রেলসেতু চালুর মধ্যদিয়ে রেল যোগাযোগে গতি আসার সাথে সাথে মানুষের ভোগান্তি কমবে। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহরে ভারি মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে শুরু করেছে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অথনৈতিক গতি আসবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পল্টনে সাব্বির টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

একদিন পেছালো খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা

দিনাজপুরের বিরলে ২২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

বগুড়ার ধুনটে জমিতে বিষ দিয়ে ফসল নষ্টের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে জমে উঠেছে ধান কাটা শ্রমিকের হাট

নেটপ্রো মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি