ভিডিও শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

নাটোরের বড়াল যৌবন হারিয়ে আবার শুকিয়ে যাচ্ছে

নাটোরের বড়াল যৌবন হারিয়ে আবার শুকিয়ে যাচ্ছে। ছবি : দৈনিক করতোয়া

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মাস তিনেকের যৌবন ফিরে পেয়েছিল বড়াল নদ। এখন যৌবন হারিয়ে ফের শুকিয়ে যাচ্ছে নদটি। প্রায় প্রতিদিনই কমছে পানি । জেগে উঠছে চর। বাড়ছে চরের বিস্তৃতিও। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও খানিকটা বিস্তৃতি। অথচ এক সময় সারা বছরই ভরা যৌবন ছিল এই বড়াল নদের। জানা যায়, বাগাতিপাড়া উপজেলাটি বড়াল নদের মাধ্যমে দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। বড়াল নদের উৎপত্তি পদ্মা নদীর রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায়।

বড়াল নদের দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটার। এটি রাজশাহীর চারঘাট, নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া, লালপুর, বড়াইগ্রাম, নাটোর সদর, গুরুদাসপুর হয়ে পাবনা জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনায় মিশে গেছে। এক সময় এ নদ ছিল নৌ-যোগাযোগের প্রধান পথ।

বর্ষা মৌসুমে সীমিত আকারে নদের মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে মালামাল আনা-নেয়া করা হলেও শুকনা মৌসুমে নদে পানি কমে যাওয়ায় যোগাযোগের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এক সময় এই নদে অনেক মাছ পাওয়া যেত। এখন নদ ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে মাছ পাওয়া যায় না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রায় মাস তিনেক ঠিকঠাক মতো পানি থাকে বড়ালে। আর বছরের বাকি সময় পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। অথচ একসময় বড়ালের যৌবন ছিলো।

যত সৌন্দর্য বড়াল অর্জন করেছিলো তা সেই সময় উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বড়ালের আগের অবস্থা আজ আর নেই। যৌবন হারিয়েছে অনেক আগেই। এখন বড়ালের বুকে চাষ হয় গম-ধানসহ বিভিন্ন ফসল। দখল-দূষণ আর অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করে নদের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নদের বুকে পলি জমে উঁচু হয়েছে।

আরও পড়ুন

দখল আর দূষণের কারণে দুই পাড় চেপে গেছে। ফলে খরস্রোতা বড়াল নদ আজ শুধুই স্মৃতি। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। দখল-দূষণ আর ভরাটের কবলে পড়া নদ রক্ষার দাবিও জানিয়েছে সমাজকর্মীরা। নদ রক্ষায় পৃথক বরাদ্দের জন্যও দাবি করেছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা রেজাউন্নবী বলেন, পদ্মার মুখে পলি মাটি জমে পানির প্রবেশদ্বার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড়াল আজ নিজের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮১-৮২ অর্থ বছরে নদের তীরবর্তী উপজেলাগুলোকে বন্যামুক্ত করার জন্য উৎসমুখ চারঘাটে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে স্লুইসগেট ও বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে স্লুইসগেট ও বাঁধ নির্মাণের ফলে ক্রমান্বয়ে বড়াল নদ শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নদটিতে পানি না থাকায় এ নদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ব্যবসা বাণিজ্যের।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল বরিশালের আমড়া

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার

নেত্রকোনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামল পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়

শ্রমিকদলের আয়োজিত সমাবেশে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অংশগ্রহণ