ভিডিও শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫

শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ, ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবন ও জুলাইবিরোধী শক্তি’ শিরোনামের একটি পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

মাহফুজ আলম লিখেছেন, ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে। পুরোনো ভাবাদর্শিক বন্দোবস্ত সক্রিয় হয়ে গেছে। সরকারের দায় দিন, অসুবিধা নেই। আমরা চেষ্টা করছি। কেন পারিনি বা আপনাদের প্রত্যাশা মতো পারছি না, সেসব ব্যাখ্যা আমরা দেব। কিন্তু, কালচারাল ফ্যাসিজম এবং পুরাতন অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে আপনাদের আমাদের নিরন্তর লড়াই প্রয়োজন।

সামাজিক ফ্যাসিবাদ বনাম সেকুলারিস্ট শক্তির ছদ্ম খেলা নস্যাৎ করে দেওয়া দরকার। নইলে এ দুই শক্তি এ প্রজন্মকে হত্যাযোগ্য করে তুলবে। ফিফথ অগাস্ট ডিভিশনকে প্রশ্ন করুন। (যারা পাঁচ তারিখে এসে আন্দোলনে অংশ নিলেন, কিন্তু জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেননি!

আরও পড়ুন

জুলাই একটা মিলনবিন্দু ছিল। ভাবাদর্শিক লড়াই নিয়ে আপনাদের সতর্ক করেছিলাম। পাঁচ মাস পরে তা সত্য হয়ে উঠছে। শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে। মুজিববাদী পেরাডাইম আর ইতিহাস তত্ত্ব আবার সক্রিয় হচ্ছে। বিপরীতে সৃজনের বদলে প্রতিক্রিয়াই শক্তিশালী হচ্ছে। নতুনভাবে এ রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে গঠনের ঐতিহাসিক সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে পুরোনো বন্দোবস্তের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায়! এগুলো কি একা সরকারের দায় বলে মনে করেন? কিংবা একা মাহফুজ আলমের দায়?

সরকার ১৫০-এর বেশি আন্দোলন মোকাবিলা করেছে! অর্থনীতিকে খাদের কিনারে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে। আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই শহীদ ও আহতদের অর্থ দান ও পুনর্বাসন থেকে শুরু করে বিচার ও সংস্কারের জন্যে আমরা নিরন্তর কাজ করছি। এখনো জনগণের যেকোনো ন্যায্য দাবি সময়সাপেক্ষ হলেও পূরণ হচ্ছে। সরকার শুনছে, কাজ করছে। কিন্তু, ভাবাদর্শিক গোঁড়ামি করে এবং বিদেশি প্রেসক্রিপশন নিয়ে যারা এ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সম্ভাবনাকে নস্যাতে দাঁড়িয়ে গেছেন, তাদের সবার খতিয়ান আমাদের প্রজন্মের কাছে আছে। কালচারাল শক্তি ও গণমাধ্যমগুলো নিছক ভাবাদর্শিক লাভক্ষতির জায়গা থেকে যেভাবে শহীদ ও আহতদের সঙ্গে বেইমানি করছেন, তাও আমাদের প্রজন্ম মনে রাখবে।

আমরা যেদিন আবার রাজপথে নেমে আসব সেদিন প্রতিদিনের ডায়েরিতে টুকে রাখা আমাদের দিন রাতের কাজগুলোর আমলনামা নিয়ে জনগণের সামনে আসব। কিন্তু, আপনারা জুলাইবিরোধী শক্তি যাবেন কোথায়? জুলাইয়ের মিত্র সেজে জুলাইয়ের পিঠে ছুরি চালানো হন্তারকেরা পালাবেন কোথায়? আপনাদের আমলনামাও আমরা রাখছি। ভাবাদর্শ আর ভিনদেশের পাতানো খেলায় নেমে যেভাবে আচ্ছন্ন করে রাখলেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে, এটার জবাব দিবে জনগণ! মিত্রদের জড়ো করুন, শত্রুদের চিহ্নিত করুন।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খুলনায় ২৫০ কেজি অবৈধ কাঁকড়া জব্দ

হবিগঞ্জে গলা কেটে যুবকের আত্মহত্যা

রংপুরে ফ্রি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা

রংপুরে তিস্তা জোন জাতীয় কাবাডি টুর্নামেন্ট শুরু

আফগানিস্তানের বিপক্ষে অক্টোবরে খেলবে বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২