কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে আলোচিত নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : নাগেশ্বরীতে ঘর থেকে হারিয়ে যাওয়া ৭ মাসের ঘুমন্ত শিশু আদিবার লাশ ২৪ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা তল্লাসি চালিয়ে ঘরের পিছনে টয়লেটের কুপ থেকে মৃত অবস্থায় শিশুটি লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের চাকেরকুটি ব্যাপারীটারী গ্রামে সোমবার দুপুরে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল আমিনুল ইসলাম ও ফেরদৌসি আক্তার খুশি দম্পত্তির ৭ মাসের কন্যাশিশু আদিবা। এ সময় শিশুটির মা বড় মেয়ে আশফিয়া খাতুন (৭) কে টিউবওয়েলে গোসল করাতে নিয়ে যান। হঠাৎ ই ঘরে কেঁদে ওঠে শিশুটি। তার কান্না শুনে দৌড়ে ঘরে গিয়ে বিছানায় তাকে না পেয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি।
তার কান্না শুনে উপস্থিত হয় পরিবার ও প্রতিবেশিরা। পরে সকলে মিলে আশেপাশে অনেক জায়গায় খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ খবর পেয়ে ঐদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন ফের তারা সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তল্লাসী চালান। একপর্যায়ে ঘরের পিছনে টয়লেটের কুপ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা।
শিশুটির এ রহস্যময় নিখোঁজ ও মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি কেউই। অনেকে একে অলৌকিক ঘটনা বললেও সঠিক কারন উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলীসহ অনেকেই জানান, এই পরিবারের একজন পূর্বপুরুষ ভুত-প্রেত, জ্বীন-পরী নিয়ে খেলা করতেন। সম্ভবত এর প্রভাবে বেশ কিছুদিন ধরে এ পরিবারে অলৌকিক ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ করেই ঘরে, বিছানা, পরিধেয় কাপড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে আসছিল। সর্বশেষ সন্তান হারানো ও নিহতের ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুনতবে ঘটনা যাই হোক এর মূল কারন উদ্ঘাটন প্রয়োজন। এমন সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চাকে কেউ নিমর্মভাবে হত্যা করতে পারে এটি তারা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। শোকে বিহ্বল। দোষীদের শাস্তি দাবি জানান তারা। নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, লেট্রিনের সেপটি ট্যংক থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলমান। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির দাদা মোহাম্মদ আলী ও দাদী আমেনা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন