ভিডিও মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা

সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে শিশু কন্যাকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছে কন্যা শিশুটিও।

আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরে পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম নাসরিন আক্তার (৩৫)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার টাঙ্গাব গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী। নাসরিন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া এলাকার এনামুল হক বিশ্বাসের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ,নিহত ওই গৃহবধূ সকাল থেকে সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি আম গাছের নিচে বসে ছিলো। দীর্ঘ সময় মোবাইলে কয়েক দফা কথাবার্তা বলে কান্নাকাটি করছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আসলে তার সাথে থাকা শিশুকন্যাকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাপ দেন তিনি। এতে শিশুকন্যা ট্রেনের সঙ্গে আঘাত পেয়ে দূরে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই গৃহবধূ।

আরও পড়ুন

তারা আরও জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।এরপর চিকিৎসক দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালো পাঠান। হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশুটিও মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শিশুর বাবা রাসেল মিয়া । 

নিহতের স্বামী রাসেল মিয়া জানান, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকুরী করেন তিনি। তিনদিন ধরে কর্মস্থলে যান না তিনি। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। সামান্য ঝগড়াঝাঁটি হয়। আজ তার স্ত্রীকে মারধরও করেননি। সকালে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানান তিনি।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেপ্তার

আকাশসীমা বন্ধ করলো কাতার

সাবেক সিইসিকে হেনস্তা : স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ আটক

এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪

নাটোরে আ’ লীগ-যুবলীগ নেতাসহ ১৪ আটক

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পাটের বাম্পার ফলন, দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষক