ভিডিও সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:৩৬ বিকাল

পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : আজ ৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৫৩ বছর আগে শত্রুমুক্ত হয়ে প্রত্যাশিত বিজয় এসেছিল পলাশবাড়ীর সর্বত্র। স্থানীয় প্রেক্ষাপটে দিনটি বড়ই বেদনাবিধুর। পাক হানাদার বাহিনী পতনের পর এলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির বিজয় উল্লাস।

সেদিনের জনমানুষদের অনেকেই বেঁচে নেই আজ। বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীকার যুদ্ধে অংশ নেয়াদের মধ্যে অধিকাংশই আজ পরলোকগত। বর্বর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় নিষ্ঠুর দোসরদের হাতে কত মানুষ নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন-কত মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে তার সঠিক তথ্য আজও কেউ জানে না।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পিয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে ‘পাকিস্তানি হানাদার প্রতিরোধ’ নামীয় একটি সর্বদলীয় কমিটি গঠন করা হয়। গোটা মার্চ মাসজুড়ে যুদ্ধের দামামায় পলাশবাড়ী এলাকা ছিল উত্তাল।

আরও পড়ুন

ভীতিকর চরম উত্তাল দিনগুলোতে পাকবাহিনীসহ তাদের দোসররা মুক্তিকামী বীর সেনাসহ ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। পাকবাহিনী সেদিন পাবনা জেলার ঐতিহ্যবাহী নারিন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎসময়ের প্রধান শিক্ষক গর্বিত পিতা আব্দুল আজিজ ও মমতাময়ী গর্বিত মা ফাতেমা বেগম দম্পতির বীর সন্তান লে. রফিককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।

পার্শ্ববর্তী ভারতে শরণার্থী হয়ে প্রবেশ করেছিল এদেশীয় ৩৫ হাজার নর-নারী ও শিশু। তৎসময়ে ২ কোটির্ধ্ব টাকা মূল্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়িঘর ও গচ্ছিত সম্পদ জ্বালিয়ে বিনষ্ট করেছিল। পাকবাহিনীর নানা শিহরিত ও লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ চালানোর এক পর্যায়ে সেদিন ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ ভোরের আলোর সাথে গোটা পলাশবাড়ী এলাকা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত 

ডাকসু’র নেতৃত্বে তিন দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে শিক্ষার্থীদের মার্চ

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

বিদেশে হাদির চিকিৎসার খরচ দেবে সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে’

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড