সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করলেন তারেক রহমান

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আপনি যদি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পত্রপত্রিকা খুলুন। আমি কারো নাম উল্লেখ করবো না, কোনো পত্রিকার কথা উল্লেখ করবো না। শুধু খুলে দেখুন কিভাবে অনেক খবর ছাপা হয়েছিল। যার সত্যতা কিন্তু ছিল না, অপপ্রচার ছিল। কিন্তু অপপ্রচারটা সংবাদ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মঙ্গলবার সকাল ৯টায় প্রচারিত বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনি কি শুনেছেন, আপনি কি আমাকে প্রমাণ দিতে পারবেন- বলতে পারবেন যে বিএনপির সময়, আমি কিন্তু বলতে পারবো অনেক অনেক সাংবাদিকের নাম যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্বৈরাচারের সময় এবং পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইভেন, এখনো অনেকে প্রবাস জীবনে আছেন, এরকম বহু সাংবাদিক।
তারেক রহমান বলেন, আমি বলতে পারব, স্বৈরাচারের সময় বহু সাংবাদিককে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন-ধমক দেয়া হতো। বিএনপির সময় এগুলো করা হয়নি, কারণ তখন সংবাদপত্রে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে তৎকালীন বিএনপি সরকার সম্পর্কে, আমার সম্পর্কে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে, যদি ওইরকম হতো তাহলে কিন্তু ওরকম খবর প্রকাশিত হতো না।
অর্থাৎ বিএনপির সময় যদি অত্যাচার- নির্যাতন চলতো তাহলে খবরগুলো প্রকাশিত হতো না স্বাভাবিকভাবে। যা হয়নি বিগত সরকারের সময় স্বৈরাচার সরকারের সময়। কাজেই আপনাকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বিএনপির অতীত সরকারের সময় যেরকম সাংবাদিকদের গুম করা হয়নি। সাংবাদিকদেরকে নির্যাতন করা হয়নি। সাংবাদিকদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে হয়নি, বাধ্য হতে হয়নি। ইনশআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না।
তাহলে কী সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধ করে- এ ধরনের যে আইনগুলো রয়েছে, সেগুলো আপনারা বাতিল করবেন, এটা কী ধরে নেওয়া যায়?
আরও পড়ুনএ প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, অবশ্যই, আমরা সকলে মিলে বসবো, আলোচনা করব। আপনাদের মত সাংবাদিকসহ যারা আছেন, তাদের সাথে আলোচনা করব। আলোচনা করে সেগুলোকে আমরা এরকম কালো আইন যা যা আছে, আমরা আস্তে আস্তে ঠিক করব।
তবে এখানে বোধহয় একটি বিষয় আবার আমাকে উল্লেখ করতে হয়- যেটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বলেছি। দেখুন, এটি তো সবাইকে মিলে করতে হবে। অপপ্রচারকে তো অবশ্যই সংবাদ হিসেবে তো প্রচার করা ঠিক নয়, তাই না?
আমাদের কাছে আপনাদের যেরকম চাওয়া থাকবে, ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে, যারাই আসুক সরকারে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদেরও অনুরোধ থাকবে আপনাদের প্রতি, যে অপপ্রচার সংবাদ হিসেবে যেন প্রচারিত না হয়, এই বিষয়টিকে একটু সকলকে সচেতন বা খেয়াল রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন