খাগড়াছড়িতে অব্যাহত ১৪৪ ধারা: স্থবির জনজীবন, মামলার প্রস্তুতি পুলিশের

মফস্বল ডেস্ক: খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে স্থবির হয়ে আছে জনজীবন। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। একই অবস্থা জেলার গুইমারা উপজেলায়। গতকাল উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
এসব এলাকায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল সীমিত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও জোরদার থাকলেও যানবাহন চলাচল করছে না। সেনাবাহিনী ও বিজিবির পাহারায় দূরপাল্লার পরিবহনগুলো একসাথে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আসা যাওয়া করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহাড়া ছাড়া ছেড়ে যাচ্ছে না কোনও গাড়ি।
এদিকে রাতে জুম্ম ছাত্র জনতার নামে একটি গ্রুপ ফেসবুকে আজ থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডাক দিয়েছে। এর আগেও তারা সামাজিক মাধ্যমে অবরোধের ডাক দিয়ে প্রত্যাহার করে। তাই এই বিবৃতি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তবে জুম্ম ছাত্র জনতার নামে কারা অবরোধ ডাকছে এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছে প্রশাসন ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবং দূর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে গতকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিবৃতি দিয়েছে মারমাদের দুই সংগঠন। সেখানে বলা হয় জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যনারের আড়ালে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল পাহাড়ি জনগণকে ব্যবহার করে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। মারমা ঐক্য পরিষদ ও উন্নয়ন সংসদের সভাপতি, সম্পাদক যৌথভাবে এই বিবৃতি দেন।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, ধর্ষণ বিষয়ে অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ একজনকে আটক করে। আসামিকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। জেলা সদরে হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের প্রতিটি ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এরআগে, রোববার ১৪৪ ধারা ভেঙে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও সংঘর্ষ হয়। গুইমারায় দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে তিনজন পাহাড়ি নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জানানো হয় সংঘর্ষের ঘটনায় এক মেজরসহ ১৩ জন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
মন্তব্য করুন