বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটকের পর গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাত

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিন্টুকে স্থানীয় জনগণ আটকের পর গণপিটুনি এবং ছুরিকাঘাত করে পুলিশে দিয়েছে। আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বগুড়া পৌর এলাকার কর্ণপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
মিন্টু বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এবং বগুড়া পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। তার নামে তিনটি হত্যাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। আহত মিন্টুকে গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের পাঁচ আগস্টের পর থেকে মিন্টু আত্মগোপনে ছিল। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি গোপনে বাড়ি ফিরছেন এমন সংবাদ পেয়ে শনিবার দুপুরের পর থেকে গ্রামের লোকজন মিন্টুর বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন। বেলা ৩টার দিকে কর্ণপুর উত্তরপাড়ায় মিন্টুর বড় ভাই বুলবুলের নির্মাণাধীন বাড়িতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় মিন্টুকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও স্থানীয় লোকজন মিন্টুকে গণপিটুনি ছাড়াও ছুরিকাঘাত করে।
আরও পড়ুন২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই এলাকার রোহান চৌধুরী নামের এক কিশোরকে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মিন্টু ছিলেন প্রধান আসামি। এরপর থেকেই মিন্টু এলাকায় থাকতে পারতেন না। রোহান হত্যা মামলায় জামিন পেলেও এলাকাবাসী তার ওপর এতটাই বিক্ষুদ্ধ ছিল যে, মিন্টু এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতেন না। শনিবার মিন্টুকে এলাকাবাসী আটকের পর পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় বগুড়া শহরের ১৯নং ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে হাসপাতাল ভর্তি করে দেয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির জানান, এলাকায় মিন্টুর অবস্থান জানতে পেরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা মিন্টুর ওপর হামলা চালায় এবং তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মন্তব্য করুন