ভিডিও সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজনীতিবিদরা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন : সর্বমিত্র চাকমার অভিযোগ

রাজনীতিবিদরা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন : সর্বমিত্র চাকমার অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা অভিযোগ করেছেন, রাজনীতিবিদরা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক মন্তব্য—‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে’—সম্পর্কেও কড়া সমালোচনা করেছেন সর্বমিত্র চাকমা। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি অপমান নয় বরং আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসার কোটি কোটি ছাত্র-ছাত্রীকেও অপমান করা হয়েছে। যারা মনে করেন ‘মাদ্রাসা ট্যাগ’ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অপমান করা যায়, তারা নিজেরাও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি কেমন বৈষম্য করেন তা সহজেই অনুমেয়।’

ডাকসুর এ সদস্যের মতে, দেশের মূলধারার রাজনীতিবিদরা যখন প্রকাশ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঘৃণা, বিদ্বেষ ও বৈষম্যের রাজনীতি করেন, তখন সমাজে নিন্দার ঝড় ওঠে না—যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে শঙ্কা তৈরি করে।

সর্বমিত্র চাকমা নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মত বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলের জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হিসাবে আমি মার্জিনালাইজেশনের বেদনা খুব স্পষ্টভাবেই বুঝতে পারি। যারা মাদ্রাসা নিয়ে ঘৃণা ছড়ায়, তারাই আমাদের স্বকীয়তা ও সংস্কৃতি মুছে ফেলে বাঙালি হয়ে যেতে বলে।’

আরও পড়ুন

আমির হামজার অতিরঞ্জিত বক্তব্য প্রসঙ্গে পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে আজান বন্ধ থাকার অভিযোগকে ভিত্তিহীনভাবে প্রচার করছেন জামায়াতে ইসলামী থেকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপ্রাপ্ত ওয়াজকারী আমির হামজা। হামজা দাবি করেছেন, শিবির ডাকসুতে জয়লাভ করার পর সেসব হলে আজান চালু হয়েছিল।

সর্বমিত্র এ বক্তব্যকে ‘মিথ্যা’ আখ্যায়িত করে বলেন, ‘হাসিনার দুঃশাসনের আমলে জসিমউদ্দিন হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগ আজান দিতে বাধা দিলেও জুলাই বিপ্লবের পর তা দূরীভূত হয়। তবে মুহসীন হলে এরকম কোনো বাঁধার তথ্য জানা যায়নি। সাম্প্রতিক ডাকসু নির্বাচনের সাথেও আজান চালুর কোনো সম্পর্ক নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের মিথ্যা দাবি আসলে হাসিনা আমলের কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষকে হালকা করে দেখায় এবং হাসির খোরাকে পরিণত করে। একটি রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী যখন এ ধরনের বক্তব্য দেন, তখন দলের নীতিনির্ধারক যারা তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের প্রজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নোয়াখালী পৌর আ.লীগের সভাপতি ঢাকায় গ্রেফতার

বিশ্বকাপ খেলতে কাল দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ নারী দল

উত্তর দিতে পেরে আমি আনন্দিতঃ মিথিলা

বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোকজনকে ডিসি-এসপি বানানো হচ্ছে: রিজভী

অ্যালোভেরা জুসের উপকারিতা

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকার নদীগুলোকে বাঁচানো সম্ভব : পরিবেশ উপদেষ্টা