ভিডিও শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বেশি লাভের আশায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বেশি লাভের আশায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ। ছবি : দৈনিক করতোয়া

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: স্বাভাবিকভাবে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে শীতকালীন সবজি ফসল ওঠানো হয়। কিন্তু ওই সময় বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পায় না। এদিকে বর্তমানে বর্ষার শেষে বাজারে সবজির অপর্যাপ্ততা তৈরি হওয়ায় দামও বেশি, চাহিদাও থাকে বেশি। সব কিছু মাথায় রেখে আগাম সবজি চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।

দেশের শস্য ভান্ডার খ্যাত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম শীতকালীন সবজির চাষ শুরু হয়েছে। এখনও শীত মৌসুম শুরু না হলেও এখানকার চাষিরা কিছু কিছু শীতের সবজি বাজারে তুলতে শুরু করেছে। উপজেলায় বিভিন্ন মাঠে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। বাজারেও উঠেছে কিছু আগাম শীতকালীন সবজি।

তবে দাম অনেক চড়া। আমদানি কম, দাম বেশি এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার শিবনগর, আলাদীপুর, খয়েরবাড়ী, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকাজুড়ে আবাদ হচ্ছে- শিম, মুলা, ফুলকপি, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, কাকরোল, লাউ, লালশাক, ধনিয়াপাতা ইত্যাদি আগাম শীতকালীন সবজি।

উঁচু জমিগুলোতে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন, এতে মুখে হাসি ফুটেছে তাদের। ভালো দাম পাওয়ার আশায় তারা শীতের আগেই যাতে শীতকালীন সবজি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে সেই প্রচেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। এতে চাষিরা প্রতিবছরই লাভবান হচ্ছেন।

আরও পড়ুন

আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আলাদীপুর ইউনিয়নের কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, এবার ৩৫ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের কপি চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কপি বাজারজাত করতে মোট খরচ হবে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ২০-২৫ দিনের মধ্যে বাজারে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন। তিনি কপির পাশাপাশি শিম ও শসা চাষ করেছেন। গত বছর এই জমিতেই ২ লাখ ২০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছিলাম। এবারও ভালো কিছু আশা করছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগাম জাতের সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া এবার আলু চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১হাজার ৮১০ হেক্টর।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানুর রহমান বলেন, আগাম সবজি চাষ লাভজনক। যেকোনো সবজি যদি মৌসুমের আগে বাজারে তোলা যায়, তবে তার দাম বেশি পাওয়া যায়। তাই অনেক চাষি আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন। এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন জেলায় যায়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ ও রোগবালাই দূর করার জন্য সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় অবৈধ দোকানীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান

পঞ্চগড়ের বোদায় বীজ বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কৃষক

বোমার হুমকি, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শিক্ষকদের আমরণ অনশন

পরিচালকদের কাছে কেন ক্ষমা চাইলেন পপি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে দুই শিক্ষক ১১ মাস থেকে বেতন ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন