ভিডিও শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শেষ হয়েও হয়নি শেষ বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজের নির্মাণ কাজ

শেষ হয়েও হয়নি শেষ বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজের নির্মাণ কাজ, ছবি : শফিকুল ইসলাম শফিক

স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি চলাচলের জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ। ওই সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ বগুড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছিলেন, সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হতে বা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিজটি চালু হতে অপেক্ষা করতে হতে পারে জুন পর্যন্ত। সেই জুন পেরিয়ে গেছে তিন মাস আগে, এখনও শেষ হয়নি ব্রিজটির নির্মাণ কাজ। আর বর্তমানে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে এ বছরের মধ্যে কাজটি শেষ হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছেন পূর্ব বগুড়ার মানুষ।

এদিকে ২০২৩ সালের ২২ মে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর দু’বছর পেরিয়ে গেলেও কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সময়মত ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেননি। ব্রিজটির কাজ সময়মত শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পূর্ব বগুড়ার কয়েকটি উপজেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে পূর্ব বগুড়ার সাথে শহরের যোগাযোগের অন্যান্য সড়কের বেহল অবস্থার কারণে এই দুর্ভোগ সীমাহীন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। স্কুল-কলেজগামী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছোট যানবাহনকেও ঘুরতে হচ্ছে দীর্ঘ ভাঙাচোরা পথ। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে এমন নাজুক অবস্থায় যাতায়াত করলেও দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজটির দু’পাশে এখনও এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। কাজ চললেও তাও চলছে খুবই ধীর গতিতে। ব্রিজের ওপর নানা ধরনের নির্মাণ সামগ্রী এবং মেশিনারিজ রাখা থাকলেও ওই এপ্রিলে ব্রিজের যে চেহারা ছিল বর্তমানে সেই অবস্থাতেই আছে। মাঝখানে জায়গা খালি করে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে মাত্র। এদিকে ব্রিজটির উভয়মুখের রাস্তা দখল করে যেসব ব্যবসায়ী স্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন তারাও নির্বিঘ্নে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন আরও বিস্তৃত পরিসরে। মাঝে মাঝে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালালেও আবারও হয়েছে দখল।

আরও পড়ুন

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বগুড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মনসুর আহমেদ বলেন, ব্রিজটির নির্মাণ কাজের সময় শেষ হলেও তা ঠিকাদার শেষ করতে পারেননি। এ জন্য আবারও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। আর দুই পাশের এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে আরও এক মাস লেগে যাবে। ব্রিজটির ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে দাবি করে এই কর্মকর্তা বলেন, এখনও ফুটপাত, রেলিংসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ বাকি আছে, সবমিলে আরও তিন মাস সময় লেগে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে নির্মিত ফতেহ আলী ব্রিজকে ২০১৮ সালের আগস্টে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় তিন মাস পর ব্রিজটির ওপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধে উভয়পাশে তিনটি করে ছ’টি পিলার বসানো হয়। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটির নকশা ও অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ২২ কোটি টাকার অনুমোদন পাওয়া যায় এবং ওই বছরের নভেম্বরেই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু কথা ছিল। ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৬৮ মিটার আর চওড়া ১২ দশমিক ৩ মিটার। এরমধ্যে সেতুর দু’পাশে আড়াই মিটার করে হাঁটাপথ (ফুটপাত) থাকবে। ব্রিজটি দৃষ্টিনন্দন করার পাশাপাশি আধুনিকভাবেও নির্মাণ করা হবে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশি গ্রেফতার

সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে প্রথম বাংলা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

মেসিকে নিয়ে স্ত্রী রোকুজ্জোর আবেগঘন পোস্ট

সরকার আলু রপ্তানিতে প্রণোদনা দিচ্ছি এবং রপ্তানীতে সহযোগিতা করছে- বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন

ডুব দিয়ে কাদার ভেতর থেকে উঠতে হয়: জয়া আহসান

খিলগাঁওয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার আরও ১