নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে
_original_1756052050.jpg)
ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আবাসিক হলের রিডিংরুমে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও দোয়া প্রার্থনার মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, আবাসিক হলের রিডিংরুমে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ ঘটনায় কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থী শাহ জামাল রোববার (২৪ আগস্ট) প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শাহ জামালের অভিযোগ অনুযায়ী, শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে আবিদুল ইসলাম খান অমর একুশে হলের রিডিংরুমে প্রবেশ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতেও ঘটনাটি দেখা গেছে।
ডাকসু নির্বাচনী আচরণবিধির ১৭(ক) ধারায় বলা হয়েছে, লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাও তার রয়েছে। একই ধারার ১৭(খ) অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার অথবা অন্যান্য আইনি শাস্তি হতে পারে।
শাহ জামাল অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, ২১ আগস্ট থেকে বর্তমান পর্যন্ত আবিদুল ইসলাম খান নির্বাচন কমিশনের একাধিক বিজ্ঞপ্তি উপেক্ষা করে নিয়ম ভঙ্গ করে আসছেন। এটি ডাকসু নির্বাচনী আচরণবিধি ৪(খ) ও ৪(ক)-এর সরাসরি লঙ্ঘন, যা ভোটারদের শঙ্কিত ও বিব্রত করছে বলে দাবি করেন তিনি। “
আরও পড়ুননির্বাচন কমিশন বলছে,আমরা অভিযোগের বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অভিযোগের বিষয়ে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “আমার এক ছাত্র ওই হলে থাকায় আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা খাওয়া-দাওয়া করেছি। আমার ছাত্র লাইব্রেরি (রিডিংরুম) দেখাতে চেয়েছিল, তাই ভেতরে গিয়েছিলাম। অন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তখন শিক্ষার্থীরা আমাকে দেখে কুশল বিনিময় করেছে। একটি কুশল বিনিময় কি আচরণবিধি লঙ্ঘন? তাহলে তো নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের বাড়ি থেকে বের হতে না বললেই হয়।”
তিনি আরও বলেন,“আমার রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় এটি কোনোভাবেই আচরণবিধি ভঙ্গ নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তা মনে করবে না। রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ প্রতিদ্বন্দ্বীরা অপপ্রচার চালাতে এসব অভিযোগ করছে।”
মন্তব্য করুন