ভিডিও বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

লালমনিরহাটে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

লালমনিরহাটে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : দু‘দিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তৃতীয় দফায় লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হাতীবান্ধা উপজেলার সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৬ মিটার। যা বিপৎসীমা (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) থেকে এক সেন্টিমিটার বেশি।

নদীপাড়ের মানুষ ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে সোমবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা ও ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও দুপুরে তা বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে দুই সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছে। ফলে নদীর উভয় পাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ও আমন ধানের খেত, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। ভবিষ্যত বন্যান আশঙ্কায় অনেকে গবাদি পশু ও মালপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার একাধিক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  এর মধ্যে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারী, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈলমারী ও নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আরও পড়ুন

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, সোলার প্যানেলের কারণে পানির চাপ পড়ছে লোকালয়ের রাস্তা ও বাঁধে। এটি রক্ষা করা না হলে হাজার হাজার বসতভিটা ও ফসলি জমি নষ্ট হবে, নদী চলে আসবে উপজেলা শহরে।
সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আরিফুল ইসলাম বলেন, পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেই ইউনিয়নের দেড় হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এ অবস্থা আগামী দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। পরে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এসব অঞ্চলের জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে আটক ৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো বিএসএসএফ

৬ দিন পর প্রিজন সেল থেকে পালানো সেই আসামি গ্রেফতার

গোপালগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

স্ত্রীসহ বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ফেনসিডিল রাখার দায়ে নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সাপের কামড়ে ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু