ভিডিও শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

২০১৯ সালের মতো চমক দেখাতে চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস পদে জমজমাট প্রস্তুতি

২০১৯ সালের মতো চমক দেখাতে চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস পদে জমজমাট প্রস্তুতি

সাকিব হাসান সজীব : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন প্রত্যাশিত নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ।

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাসে ফিরেছে রাজনৈতিক উচ্ছ্বাস। আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনজুড়ে বইছে নির্বাচনী আমেজ। ইতোমধ্যে ছাত্রসংগঠনগুলো প্রার্থী বাছাই, প্যানেল চূড়ান্তকরণ এবং নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যানার-পোস্টার ও প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।

এই নির্বাচনী দৌড়ে শুরু থেকেই চোখে পড়ার মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে চমক দেখানো এই সংগঠনটি এবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যারা হল পর্যায়ে নিয়মিত মতবিনিময় করছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এবারও তারা চমক দেখাতে প্রস্তুত এবং এরই মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল গঠন করেছেন।

জানা গেছে ভিপি (সভাপতি) পদে নির্বাচন করবেন সংগঠনের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে  থাকবেন আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক। এজিএস (সহ-সম্পাদক) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম। তারা জানান, এর বাইরে আরও বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং প্রয়োজন হলে একটি সার্বজনীন প্যানেল গঠনের কথাও ভাবা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও হাতে নিয়েছেন তারা। সেগুলো হলো ডাকসুকে নিয়মিত ক্যালেন্ডার ইভেন্টে পরিনত করা। ডাকসু চলমান থাকতেই পরবর্তী ডাকসুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা। শিক্ষার্থীদের দাবি One student, One bed, one table এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করা। অনতিবিলম্বে প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা করা তার আগ পর্যন্ত মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে আবাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা রের মান উন্নত করা, প্রয়োজনে এক্ষেত্রে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।

বিদ্যমান গবেষণা কেন্দ্রগুলোকে আরো উন্নত ও আধুনিক করে বিশ্বমানের গবেষণা কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন পর্যাপ্ত লাইব্রেরির ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করা। রেজিস্টার বিল্ডিং সংস্কার করা, ভর্তি সার্টিফিকেট উত্তোলনসহ সকল প্রক্রিয়া অটোমেশন ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর আওতায় নিয়ে আসা। অ্যাকাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়া রিলেশন স্থাপন করা।

দেশ ও বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সাথে কন্টাক্ট এর মাধ্যমে হিউম্যান রিসোর্স তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ বহিরাগত ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ বহিরাগত ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। বিশেষ করে সুফিয়া কামাল হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, কুয়েত মৈত্রি হল ক্যাম্পাস এরিয়ার বাইরে হওয়ায় তাদের নিরাপত্তা ও সহজ যাতায়াতের ব্যবস্থা করা।

আরও পড়ুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্টেশন সংকট সমাধান করা, নিরাপত্তা ও কোন বাস কোথায় আছে জানার জন্য বাসগুলোতে ট্রাকার সিস্টেম চালু করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক শাটল সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য বিশেষায়িত রিক্সা ব্যবস্থা করা।

মুর্তজা মেডিকেল সেন্টারে আধুনিক সেবা * নিশ্চিত করা ও হল এরিয়াতে ফার্মেসি স্থাপন করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্থাপনার টেম্পার টেস্ট করা ও হল ও একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা সংস্কার করা, পুকুরগুলো সংস্কার করা।

"ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ফর এভরি স্টুডেন্ট লক্ষ বাস্তবায়নে কাজ করা। অনতিবিলম্বে, মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে পার্ট টাইম জব ও ইন্টার্নশিপ এর ব্যবস্থা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্থাপনার টেম্পার টেস্ট করা ও হল ও একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা সংস্কার করা, পুকুরগুলো সংস্কার করা। টিএসসি ভিত্তিক ও এর বাইরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন রয়েছে তাদের সাথে আরো বেশি কোঅপোরেশন ও ডেভেলপমেন্ট ফাংশন করা।

ক্যাম্পাসে নানান বৈচিত্র ও নানান পথের মত প্রকাশের দারকে অবারিত রাখা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা। ক্রীড়া, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার ভিতর দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জুলাই অভ্যুত্থান এর চেতনাকে সমুন্নত রাখা। মেক দ্যা ডাকসু ফর একাডেমিক এক্সসিলেন্স মোটো নিয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানান তারা।

এই আয়োজন, পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ছাত্র অধিকার পরিষদ আবারও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। ২০১৯ সালের মত চমক দেখিয়ে ডাকসুর নেতৃত্বে জায়গা করে নিতে চায় তারা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাবনার সুজানগরে পাটের বাম্পার ফলন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিজলী জাতের মরিচ চাষে সাড়া ফেলেছেন মোস্তফা

সিরাজগঞ্জে টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

নওগাঁর দুই সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ

শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আবর্জনামুক্ত বেড়ার একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র