অসহায় মানুষের আশার বাতিঘর গুরুদাসপুরের রাসেল হোসাইন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : আমেরিকার ওকলাহোমা থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স কেবল পরিবারের জন্য নয়-মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর এক মহান ব্রত হয়ে উঠেছে রাসেল হোসাইনের জীবনে। দেশের গরীব, অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সন্তান ও ওকলাহোমা প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাসেল হোসাইন।
প্রায় এক যুগ ধরে প্রবাসে থাকলেও দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসায় ভাটা পড়েনি তার। নিজ উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে গড়ে তুলেছেন দু’টি বড় শপিংমল, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫০ জন বেকার তরুণ-তরুণীর। তবে রাসেল হোসাইনের সবচেয়ে বড় অবদান এখন পর্যন্ত তিনি ৫ শতাধিক অসহায় মানুষকে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য।
সম্প্রতি গুরুদাসপুর পৌর এলাকার ক্যান্সার আক্রান্ত রঞ্জনা রানীর চিকিৎসার জন্য তিনি দিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। বিধবা সুকজান বেওয়া ও আমেনা বেগমের চিকিৎসায় খরচ করেছেন ১ লাখ টাকা। দুর্ঘটনায় পঙ্গু প্রায় কৃষক বুদ্দু মিয়ার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভারও তিনিই বহন করেন। অন্যদিকে, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান চুরি হয়ে গিয়ে দিশেহারা সাগর হোসেনকে উপহার দিয়েছেন নতুন একটি ভ্যান, যার মাধ্যমে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার পরিবার।
আরও পড়ুনবিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক জামান সরকার বলেন, দেশের কোটি কোটি টাকার রেমিট্যান্স যেভাবে সমাজ বদলে দিতে পারে, রাসেল হোসাইন তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তিনি প্রমাণ করেছেন মানুষ চাইলে প্রবাস থেকেও হতে পারে মানুষের জন্য আশার আলো।
রাসেল হোসাইন বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা আমার রক্তে। আগে সুযোগ ছিল না, এখন আল্লাহ দিয়েছেন সেই সামর্থ্য। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন এই মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবো। কারণ, আমার একটু সহযোগিতায় যদি কারো জীবন বদলে যায় তাতেই আমার শান্তি।
মন্তব্য করুন