ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

সাবেক ১০ নির্বাচন কমিশনার ও দুই সচিবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক ১০ নির্বাচন কমিশনার ও দুই সচিবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, ৯ নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশন সচিবসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বাকিরা হলেন- নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক।

আদালতের আদেশে বলা হয়, আসামিরা বর্তমানে পলাতক আছেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের বিদেশ গমন বাতিল করার জন্য এসএস ইমিগ্রেশন (প্রশাসন) ও এসবিকে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদানের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করেছেন। আবেদনসহ নথি পর্যালোচনা করলাম। সার্বিক পর্যালোচনায় তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিলকৃত আবেদন মঞ্জুর করা হলো। এ মামলার পলাতক আসামিদের বিদেশ গমন বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসএস ইমিগ্রেশন (প্রশাসন) ও এসবিকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

গত ২২ জুন বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উলটো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি। এরপর মামলায় দণ্ডবিধির ১২৪ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন

মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি কেএম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ মামলার আসামি। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, একেএম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে মামলায়।

এ মামলায় গত ২২ জুন সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদাকে উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২৩ জুন চার দিন এবং ২৭ জুন আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ মামলায় গত ১ জুলাই তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে গত ২৫ জুন মগবাজার এলাকা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় জুলাই স্মরণে আলোকচিত্র ভিডিও প্রদর্শনীর পুরস্কার বিতরণ

গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা

বিচ্ছেদের পথে সাইফ-কারিনার সম্পর্ক!

বগুড়ায় ডাবলু-আমিনুল সহ তিনজন শোন এ্যারেস্ট 

গণঅভ্যুত্থানে অবদানের স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রবাসী জুলাই যোদ্ধারা 

প্রিয়াংকার রহস্যঘেরা পোস্ট