সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় দুর্ভোগ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের শিলংদহ গ্রাম থেকে গুরমা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় ৩ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো রাস্তা জুড়ে পানি ও কাদা জমে থাকায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের শিলংদহ গ্রাম থেকে গুরমা গ্রামের দীঘির বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় হাঁটু পরিমাণ কাদা মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে। বছরের বেশিরভাগ সময় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয় তাদের।
পুরো রাস্তা জুড়ে কাদার থাকায় গ্রামে কোনো ভ্যান-রিকশা প্রবেশ করে না। মোটরসাইকেল, সাইকেলে তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দায়। বৃষ্টির দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সও আসে না। গুরুতর অসুস্থ হলে কাঁধে করে কর্দমাক্ত রাস্তা পার করতে হয়।
আরও পড়ুনগ্রামবাসী আক্ষেপ করে জানান, ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না। আমরা ঠিকমতো হাট-বাজারে যেতে পারি না। পর্যাপ্ত উৎপাদিত কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারি না। অধিক টাকায় মহিষের গাড়ি ভাড়া করে ধান বিক্রি করতে হয়। ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো ফল হয়নি।
দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক বলেন, রাস্তাটির জন্য এলাকাবাসী খুবই দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন। এই রাস্তা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, রাস্তাটির কাগজপত্র ঢাকা অফিসে দেওয়া আছে। আগামীতে বরাদ্দ এলে অবশ্যই রাস্তাটি পাকা করার চেষ্টা করব।
মন্তব্য করুন