ভ্যানের জন্য হত্যা করা হয়েছে জিহাদকে
নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিললো : গ্রেফতার ২

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকায় বন্যার পানিতে ভেসে আসা অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব-৫। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে র্যাব-৫ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে সিংড়া থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরপরই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে র্যাব। তদন্তের একপর্যায়ে গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলা চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামের ফারুক প্রামাণিকের ছেলে সাগর প্রামাণিক (১৮) ও মনসের প্রামাণিকের ছেলে সুলতান প্রামাণিক (১৯)।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম জিহাদ, যার সাথে তাদের চার মাস আগে পরিচয় হয়। আড্ডা দেওয়া এবং গাঁজা সেবনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সম্প্রতি আর্থিক সংকটে পড়ে সাগর, যার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। সুলতানও একই ধরনের অর্থকষ্টে ছিলেন। দুই সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা করে তারা জিহাদকে হত্যার মাধ্যমে তার ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুনপরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় তারা চৌগ্রাম বাজারে জিহাদের সাথে দেখা করে এবং পরে সিংড়া বাজার থেকে গোপনে চেতনানাশক ট্যাবলেট সংগ্রহ করে। পরে তা কৌশলে জিহাদকে খাওয়ালে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ৯টায় ইটালি ইউনিয়নের ইটালি-ইন্দ্রাসন গ্রামের মাঝামাঝি পাজাগাড়ি নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে পুরনো ভ্যানের টায়ারের টিউব দিয়ে জিহাদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশটি বন্যার পানিতে ফেলে দেয়।
ঘটনার পর সুলতান নিহতের মোবাইল ফোন নিজের কাছে রাখে এবং সাগর ভ্যানটি ইটালি গ্রামের হাসানের বাড়িতে রেখে আসে। র্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা হয় নিহত জিহাদের মোবাইল ফোন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত টায়ারের টিউব, ব্যাটারিচালিত ভ্যান।
মন্তব্য করুন