ভিডিও রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। 

শনিবার (২৬ জুলাই) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে আনোয়ারের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভে দেশটির হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।

 

সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষকে ‌‘পদত্যাগ, পদত্যাগ, আনোয়ারের পদত্যাগ’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় কালো টি-শার্ট পরা হাজারও বিক্ষোভকারী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে কুয়ালালামপুরে দেশটির জাতীয় মসজিদ নেগারার সামনে জড়ো হন।

পরে সেখান থেকে ‘জাগো, জাগো, জনগণ জাগো’ স্লোগানে বিক্ষোভকারীদের কুয়ালালামপুরের স্বাধীনতা স্কয়ারের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। আনোয়ার ইব্রাহীমের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া লোকজনকে স্বাধীনতা স্কয়ারে অবস্থান নেওয়ার কথা রয়েছে।

আনোয়ার ইব্রাহীম গত প্রায় তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদকালে দেশটিতে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে সাধারণ জনগণের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জনরোষ কমাতে গত রোববার দেশের সব প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিককে নগদ অর্থ সহায়তা ও জ্বালানির দামও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহীম।

আরও পড়ুন

দেশটির বিরোধীদলীয় জোট পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন) সমর্থিত বৃহস্পতিবারের এই সমাবেশে ক্ল্যাং ভ্যালির বাইরের অঞ্চল থেকেও হাজার হাজার মানুষকে বাসে করে আনা হয়েছে। এতে দেশটির ছোট ছোট কয়েকটি বিরোধী দল ও মালয়-ভিত্তিক বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী অংশ নিয়েছে।

সমাবেশের মূল বক্তাদের মধ্যে ছিলেন দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মাহাথির মোহাম্মদ ও মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। মুহিউদ্দিন পেরিকাতান ন্যাশনালের অন্যতম নেতা এবং তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পার্টি ইসলাম মালয়েশিয়ার (পিএএস) প্রেসিডেন্ট আব্দুল হাদি আওয়াং।

আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও ক্ষোভ তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে রয়েছে—জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি (বিশেষ করে জুলাই মাসে বিক্রয় ও সেবা কর  সম্প্রসারণের পর), বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধির হার এবং জ্বালানি ভর্তুকি হ্রাস।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘বিচার, সংস্কার, নির্বাচন এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বার্থ’

রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় : অর্থ উপদেষ্টা 

আরও ২ সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে যায় ডিবি

দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা

রংপুরের বদরগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদসহ আটক ১

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শিশু ও নারী নির্যাতন মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২