বগুড়ায় চাচা হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন
_original_1752766623.jpg)
কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়া শহরে দিনেদুপুরে চাচা জিয়াউল হক জিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলার রায়ে অভিযুক্ত ভাতিজা নাজমুল হুদা সিজুকে (৫৩) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম করাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হুদা সিজু বগুড়া শহরের ধরমপুর জিলাদার পাড়ার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। এই মামলার অপর সাত আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাসের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ ইফতেখার আহমেদ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে এই মামলার রায় দেন।
উল্লেখ্য, বগুড়ার ধরমপুর জেলাদার পাড়ার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে জিয়াউল হক জিয়া ও তার ভাইদের সাথে আসামিদের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আসামির জিয়াউল হক জিয়াকে হত্যার হুমকি দিলে তিনি বগুড়া শহরে কাটনারপাড়ায় জয়নাল হাজির বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকতেন। বিগত ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর জিয়াউল হক জিয়া তার বড় ভাই সুলতানকে সঙ্গে নিয়ে সোনা কেনার জন্য শহরের গালাপট্টিতে যান। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় আসামির তাকে বেলা আড়াইটার দিকে বড়গোলায় অতর্কিত হামলা চালালে জিয়া প্রাণ বাঁচার রাজাবাজারের দিকে দৌঁড় দিলে দত্ত স্টোরের পড়ে যান। এ সময় আসামি নাজমুল হুদা সিজু ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জিয়াউল হক জিয়াকে হত্যা করে। এ ব্যাপারে নিহত জিয়াল স্ত্রী শ্যমলী আক্তার বাদি এই মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে সদর থানার এসআই জুলহাস এবং পরে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক কায়সার আলী তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এড. আবু হায়াত মোস্তাফা কামাল পরাগ। তাকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি এড. আরাফাত খাতুনে জান্নাত নীলা এবং আসামি পক্ষে এড. আব্দুল মন্নাফ ও এড. রাশেদুর রহমান সবুজ।
আরও পড়ুন
মন্তব্য করুন