৭০-এ পা রাখছেন জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেত্রী ডলি জহুর
_original_1752678086.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেত্রী ডলি জহুরের জন্মদিন আজ। গুনী এই অভিনেত্রী আজ ৭০ বছরে পা রাখছেন। বাংলাদেশের বহু নাটকে ও চলচ্চিত্রে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি এদেশের কোটি কোটি দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেছেন। এখন চলচ্চিত্রে তাকে না দেখা গেলেও নাটকে মাঝে মাঝে তাকে দেখা যায়।
এরইমধ্যে তিনি তৌকীর আহমেদ’র পরিচালনায় বিটিভিতে প্রচারের অপেক্ষায় একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও মহিন খানের নির্দেশনাতেও তিনি আরো একটি খন্ড নাটকের কাজ এরইমধ্যে শেষ করেছেন। যাতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও হিমি।
ডলি জহুর জানান, মহিন খানেরই আরো একটি নাটকে কাজ করবেন আগামী কয়েকদিনের মধ্য। এদিকে জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনন্যা রুমার প্রযোজনায় চ্যানেলে আইতে আগামীকাল দুপুর ১২.৩০ মিনিটে ‘তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করবেন ডলি জহুর।
অনন্যা রুমা জানান, ডলি জহুরের জন্মদিনকে ঘিরে ‘তারকা কথন’ বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। আরো কয়েকজন অতিথিও অংশ নিবেন। এদিকে ডলি জহুরের জন্মদিনকে ঘিরে তার নিজের কোনো আয়োজন থাকছেনা। কারণ তিনি রাজধানীর উত্তরাতে একাই বাসায় থাকেন। একমাত্র ছেলে তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অষ্ট্রেলিয়া থাকেন।
আরও পড়ুনজন্মদিন উপলক্ষ্যে ডলি জহুর বলেন,‘ দেখতে দেখতে জীবনের কতোগুলো বছর পেরিয়ে এলাম। সত্তরে পা রাখছি। পেশাগতভাবে আমি একজন অভিনয়শিল্পী। সারাটা জীবন আমি অভিনয়ই করে গেছি। যখন যে কাজটি করেছি মন দিয়েই করার চেষ্টা করেছি। কোন কাজ করে কী সম্মানী পাবো সেটা নিয়ে কখনো ভাবিনি আমি। শুধু ভাবনায় ছিলো আমাকে যে চরিত্রটি দেয়া হয়েছে তাতে যেন ঠিকঠাক মতো অভিনয়টা করে যেতে পারি। এদেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি আমি শুধু অভিনয় করেই। অভিনয় ছাড়াতো জীবনে আর কিছু পারিনা, তাই এখনো অভিনয় করতেই ভালোলাগে। যদিও বা আগের চেয়ে কাজ অনেক কমে গেছে। আমার শরীরটাও এই মুহুর্তে আগের মতো ভালো ভালো নেই। কিন্তু তারপরও আমি আজীবন অভিনয়ই করে যেতে চাই। সবার দোয়া চাই যেন আরো কিছু ভালো ভালো গল্পের নাটকে, সিনেমায় কাজ করে যেতে পারি। আর জন্মদিনে সবার কাছে দোয়া চাই। ধন্যবাদ অনন্যা রুমাকে তারকা কথন-এ প্রতি বছর আমাকে স্মরণ করার জন্য। ’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ডলি জহুর’কে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে। ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ও ‘ঘানি’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি মঞ্চ নাটকের সাথে যুক্ত হন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে ‘নতুন বউ’,‘ শঙ্খনীল কারাগার’,‘ আগুনের পরশমনি’, ‘কুলি’, ‘ বিক্ষোভ’,‘ স্বপ্নের ঠিকানা’,‘ চাওয়া থেকে পাওয়া’,‘ বিচার হবে’,‘ আনন্দ অশ্রু’,‘ দীপু নাম্বার টু’,‘ স্বপ্নের নায়ক’,‘ বাবা কেন চাকর’,‘ অনন্ত ভালোবাসা’,‘ হৃদয়ের কথা’,‘ দারুচিনি দ্বীপ’,‘ সন্তান আমার অহংকার’,‘ মন বসেনা পড়ার টেবিলে’ ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন