নেত্রকোনার আ.লীগ নেতা প্রশান্ত কুমার গাজীপুরে গ্রেফতার

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র প্রশান্ত কুমার রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় একটি বাসা থেকে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
প্রশান্ত কুমার রায় শহরের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। ছয় বছর আগে স্টোকজনিত কারণে তিনি অসুস্থ হন।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৬ সহস্রাধিক।
আরও পড়ুননেত্রকোনা মডেল থানা ও বারহাট্টা থানায় হওয়া মামলার মধ্যে প্রশান্ত কুমার রায়কে অন্তত আটটি মামলায় আসামি করা হয়। গত ২০ জুন সকালে প্রশান্তের নেতৃত্বে আওয়ামী ব্যানারে ঝটিকা মিছিল হয়। জেলা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে মিছিল শুরু করে ছোট বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রশান্ত কুমার অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এসব কর্মসূচির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে একই দিন সন্ধ্যা ও রাতে জেলা বিএনপি, জামায়াত ও খেলাফত আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা প্রশান্ত রায়ের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এদিকে, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রশান্ত কুমারের বাসায় হামলা চালায়। বসতবাড়ির আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভাঙচুর, টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় বাসায় প্রশান্ত কুমারের স্ত্রী, বড় ভাই ও তার স্ত্রীসহ কাজের লোক ছিলেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘গোপন খবরের ভিত্তিতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা প্রশান্ত কুমার রায়কে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২০ জুন ভোরে নেত্রকোনার শহরে ঝটিকা মিছিল করে তিনি টঙ্গী এলাকায় চলে যান। এরপর থেকেই সেখানে ছিলেন তিনি। তাকে নেত্রকোনা মডেল থানায় আনা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আদালতে তোলা হবে।’
মন্তব্য করুন