নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার মালামাল চুরির ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম কারখানা থেকে মালামাল চুরি ঘটনায় একই শপের টিএলআর ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) হাবিলদারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন (সিএন্ডডাব্লিউ) মেশিন শপের এসএসই ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেছেন। এ চুরির সাথে জড়িত থাকা অভিযোগে টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট (টিএলআর) মো. জাবেদকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মো. জাবেদ সৈয়দপুর পৌর এলাকার পাটোয়ারীপাড়ার মো. মমিতুল ইসলামের ছেলে। মামলার সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন মেশিন শপের ইনচার্জ উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানতে পারেন তার শপের ভেতরে রেলওয়ে লাইনের পাশে বস্তায় রাখা লোহার বাবরি চুরি গেছে। তৎক্ষণাৎ তিনি ঘটনাটি রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ককে (ডিএস) অবগত করেন। এরপর ওই শপের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান টিএলআর মো. জাবেদ শপের লোহার বাবরি চুরি করছেন।
আর চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত হয়ে কারখানার আরএনবির সহায়তায় টিএলআর মো. জাবেদকে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সিএন্ডডাব্লিউ মেশিন শপের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের কাছে চুরির ঘটনা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুনএসময় তিনি চুরির সাথে জড়িত বাফার সেকশনের ফিটার-১ মো. হুমায়ুন কবির (৪৩), সিএন্ডডাব্লিউ মেশিন শপের টিএলআর মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার হাসান আল মামুন (৪০) এবং চুরির মালামালের ক্রেতা জাবেদ, এরশাদ, মোহন, মুন্নাসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের নাম বলেন।
এ চুরির ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে সিএন্ডডাব্লিউ মেশিন শপের ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম নিজে বাদি হয়ে টিএলআর জাবেদসহ আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদ-উন নবী রেলওয়ে কারখানার মালামাল চুরির ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলাটি রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী (আরএনপি) তদন্ত করছেন।
মন্তব্য করুন