ভিডিও শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

বগুড়ার নন্দীগ্রামে অসময়ে তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী কৃষক গাফ্ফার

বগুড়ার নন্দীগ্রামে অসময়ে তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী কৃষক গাফ্ফার। ছবি : দৈনিক করতোয়া

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুর থেকে দেখে মনে হতে পারে মাচায় ঝুলছে লাউ কুমড়া, কিন্তু কাছে গেলে দেখা মেলে তরমুজের। তরমুজ মৌসুমি ফল। এটি সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু অসময়ে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন আব্দুল গাফ্ফার।

উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রাম পশ্চিম পাড়া গ্রামের আলহাজ্ব আয়েত আলীর বড় ছেলে আব্দুল গাফ্ফার পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে কর্ম হিসেবে বেছে নেন কৃষিকে। কৃষিকে আরও ভালভাবে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন ট্রেনিং নিয়ে প্রথমে ৩৩ শতক জমিতে কপি, ৩০ শতক জমিতে মরিচ ও ৫০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেন।

পরে তা বাজারে বিক্রি করে লাভবান হন গাফ্ফার। এরপর আর থেমে থাকেননি তিনি। শুরু করেন অসময়ে তরমুজ চাষ। ২০২৩ সালে মালচিং পদ্ধতিতে অসময়ে ব্লাকবেরি জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেন। চলতি বছরের মে মাসে ৫০ শতক জমিতে ব্লাকবেরি, রাজাগোল্ড ও মধুমালা জাতের তরমুজের চারা রোপন করেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছেন গাফ্ফার।

কৃষক আব্দুল গাফ্ফার বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমি এই তরমুজের চাষ করছি। এবার ফল অনেক ভাল হয়েছে দামও ভাল। বর্তমানে বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে এই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। এই  দামে তরমুজ বিক্রি করতে পারলে প্রায় দুই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। তিনি আরও বলেন, অসময়ে এই তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকে বাজারে।

আরও পড়ুন

চারা রোপনের ৬০ থেকে ৬৫  দিনের মধ্য এই ফল সংগ্রহ করা যায়। তার সফলতা দেখে অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে আনেকেই। অসময়ে তরমুজ চাষ করে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছে সেই সাথে তাদের এই ক্ষেতে কাজ করে সংসার চলাচ্ছেন অনেকে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, অসময়ে গফ্ফারের তরমুজ চাষ নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। কিন্তু তার সফলতা দেখে অনেকেই আবার পরামর্শ নিতে আসছে। আমি নিজেও ভাবছি এ ফলের চাষ করব।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, উপজেলার ভাটগ্রামের আব্দুল গাফ্ফার মাচায় কালো তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছে।

আমরা তাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতাসহ পরামর্শ প্রদান করছি এবং তার মাঠ নিয়মিত পরিদর্শন করছি। তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমার নন্দীগ্রাম উপজেলার বেশ কয়েক জন কৃষকের মাঝে মাচায় কালো তরমুজ চাষ প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করছি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল

অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা আর নেই

লালমনিরহাটে ভাতিজার দা’র কোপে চাচা নিহত

বগুড়ার ধুনটে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা শিক্ষক গ্রেফতার

এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া সেই ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার

পাবনা থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ