১৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা
বগুড়ায় এবার ৬৩টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেবে

স্টাফ রিপোর্টার : বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন বগুড়ায় এবার ৬৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩৩ হাজার ১৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এরমধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ৬৬৪ জন এবং ছাত্রী ১৪ হাজার ৫০৭ জন।
বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৩৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৯১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। এরমধ্যে ছাত্র ১৩ হাজার ৯৪৬ জন এবং ছাত্রী ১১ হাজার ৯৭২ জন। ১৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৪৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। এরমধ্যে ছাত্র ১ হাজার ৩৩৬জন এবং ছাত্রী ১ হাজার ১১২ জন।
এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল পরীক্ষা ১৬টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪ হাজার ৮০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৩ হাজার ৩৮২জন এবং ছাত্রী ১ হাজার ৪২৩ জন। প্রতিবছরের মত এবারও পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁস সংক্রান্ত গুজব এবং পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছ
। এসময় সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি, বাংলাদেশের হটলাইনে (নম্বর-০১৩২০০১০১৪৮) যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসনের জন্য কেন্দ্রগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনবগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ জানান, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং এসময়ের পর কোনও পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
অনিবার্য কারণে কোনও পরীক্ষার্থী এর পরে প্রবেশ করলে রেজিস্টারে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনও কক্ষে পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলে যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের ততটুকু সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি ও ভোকেশনাল প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্র এবং আলিমের কুরআন মাজীদ পরীক্ষা হবে।
মন্তব্য করুন