নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জুন, ২০২৫, ০৮:৪৬ রাত
ঢাবির ছয়টি ছাত্রী হল ও একটি ছাত্রীনিবাসে চীনা দূতাবাসের এলইডি টিভি উপহার

ঢাবির ছয়টি ছাত্রী হল ও একটি ছাত্রীনিবাসে চীনা দূতাবাসের এলইডি টিভি উপহার
ঢাবি প্রতিনিধিঃ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আরও একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো চীনা দূতাবাস। ঢাকার চীনা দূতাবাসের সৌজন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি ছাত্রী হল ও একটি ছাত্রীনিবাসে এলইডি টেলিভিশন প্রদান করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২২ জুন ২০২৫) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টেলিভিশনগুলো সংশ্লিষ্ট হলগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন।
এবার এলইডি টেলিভিশন পাওয়া হল ও ছাত্রীনিবাসগুলো হলো—রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, কবি সুফিয়া কামাল হল এবং নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী ছাত্রীনিবাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—রোকেয়া হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক রুমানা পারভীন এ্যানি, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এম এ কাউসার, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ড. ছালমা নাছরীন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন এবং কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়ং হুই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেন, *"চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাসসমৃদ্ধ এবং অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্ক কেবল কূটনৈতিক পর্যায়েই নয়, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বিস্তৃত। সাম্প্রতিক সময়েও এ সম্পর্ক আরও গভীর ও বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে।"*
তিনি জানান, গত এক বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের প্রয়োজন বিবেচনায় ইন্টারন্যাশনাল হলে একটি আলাদা ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে।
উপাচার্য আরও জানান, সম্প্রতি চীনের ইউনান প্রদেশের গর্ভনর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সফর করেছেন এবং নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে একটি শিক্ষা প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন। এই সফরের অংশ হিসেবে চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় ২৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক ছাত্রী হল নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন