নিজ দেশের কাছে আর প্রত্যাশা নেই: শবনম ফারিয়া

বিনোদন ডেস্কঃ  জুলাই আন্দোলনে সরব ভূমিকার পর দেশ ও জাতির নানা কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন, নিজ দেশের কাছে আর কোনো প্রত্যাশা রাখেন না। পাশাপাশি সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, "সবাই টাকার কাছে নৈতিকতা বিক্রি করে না।"

গত বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই বক্তব্য দেন ফারিয়া। সেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং ‘ডলার খাওয়ার’ মতো কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন।

ফারিয়া লেখেন,“বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর সব মানুষ টাকার কাছে তাদের ‘এথিক্স’ বিক্রি করে না। মানুষ স্রোতের বিপরীতেও যায়, রিস্ক নেয়।” স্ট্যাটাসে একটি গল্প উল্লেখ করে ফারিয়া বোঝাতে চান—মানুষ যার মানসিকতায় বাস করে, সে অন্যদেরও সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে। এরপর তিনি ফিরে যান গত জুলাইয়ের আন্দোলনের সময়কার স্মৃতিতে।

তিনি জানান,“জুনে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, তখন কিছু সেলিব্রিটিকে বিটিভি বা মেট্রোরেলে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে ভিডিও বানাতে বলা হয়। আমিও তাদের একজন ছিলাম। তখন আমি সময় চাই এবং পরে ‘না’ বলে দেই।”

বেনাপোলে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক আটক

নিজ দেশের কাছে আর প্রত্যাশা নেই: শবনম ফারিয়া

নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রকাশ, শরীয়তপুরের ডিসি ওএসডি

তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্তের জন্য তিনি কখনও প্রচার বা বাহবা চাননি। কিন্তু কিছু মানুষ যখন কল্পনাপ্রসূত ‘ডলার খাওয়ার’ গল্প বানিয়ে প্রচার করে, তখন তাকে মুখ খুলতেই হয়। তার ভাষায়,“আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতির সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নই, ভবিষ্যতেও কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু কিছু মানুষ যখন বলে ‘এরা তো ডলার খাইছে’, তখন হাসা ছাড়া কিছু করার থাকে না।”

তিনি বলেন,“আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে। কিন্তু জুলাইয়ে তারা লাল ডিপি দিয়েছিল। কারণ সেসময় যদি আপনি মানুষ হোন, তাহলে একজন মানুষ হত্যার প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেন না—আপনার রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন।” স্ট্যাটাসের শেষ দিকে এসে নিজের চূড়ান্ত হতাশার কথা জানান ফারিয়া।“আমি বুঝে গেছি, আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া ও নির্লজ্জ। যত আন্দোলন হোক, যত সরকার বদল হোক, আমরা ভালো হবো না। শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ—ক্ষমতা পেলেই সবাই তা অপব্যবহার করে।”

অভিনেত্রী বলেন, এই স্ট্যাটাস দিয়েই তিনি দেশের রাজনীতি নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করবেন না। পাশাপাশি শেষ প্যারাগ্রাফে রসিকতার ছলে বলেন,“সত্যি ডলার পেলে ভালো লাগত। শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে ২৫,৩০০ টাকা দিয়ে ২০০ ডলার পাসপোর্টে এন্ডোর্স করাতে খুব কষ্ট হয়েছে।”