গাজায় ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে হামলা চালিয়ে সেনাসদস্যকে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। তাদের সাঁজোয়া যানে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় একজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সোমবার (১৬ জুন) গাজা উপত্যকায় অভিযান পরিচালনার সময় তাদের সেনারা হামলার শিকার হয়। এতে স্টাফ সার্জেন্ট নাভে লেশেম (২০) নিহত হয়। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলানি ব্রিগেডের ১২তম ব্যাটালিয়নের সদস্য ও পশ্চিম তীরের নোকদিম বসতির বাসিন্দা ছিল। আইডিএফের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, খান ইউনিসে অভিযানের সময় লেশেম ও অন্যান্য আহত সৈনিকরা একটি সাঁজোয়া যানে ছিল। হঠাৎ এক ব্যক্তি যানটির বাইরে বিস্ফোরক যন্ত্র স্থাপন করেন ও ইসরায়েলি সেনারা আত্মরক্ষার চেষ্টা করার আগেই সেটি বিস্ফোরিত হয়।
এদিকে, ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মাঝেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে। বিশেষ করে, উত্তর গাজার শহরগুলোতে স্থল অভিযান ও গোলাবর্ষণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। রোববার (১৬ জুন) ইসরায়েলে অভিযানে অন্তত ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনকাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, মাঠ পর্যায়ের বিশ্লেষণে স্পষ্ট যে, ইসরায়েলের লক্ষ্য এখন আর শুধু হামাস নয়, বরং যতটা সম্ভব আবাসিক এলাকা ধ্বংস করে বেসামরিক মানুষদের গাজা শহরের পশ্চিম প্রান্তে ঠেলে দেওয়া। দেইর আল-বালাহ ও আশপাশের অঞ্চলগুলো থেকে দিনের পর দিন বিস্ফোরণের আওয়াজ, ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও বিধ্বস্ত ভবনের চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় এখন পর্যন্ত গাজার ৬০ শতাংশ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে, কারণ বহু পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। খবর : আল জাজিরা
মন্তব্য করুন