টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে প্রতিবেশী চাচা ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলে শহিদ মিনারের সামনে জেলা নারী ও শিশু যৌন নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের উদ্যোগে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
নারী ও শিশু যৌন নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের সদস্য মোনালিসা মুন্নির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফাতেমা রহমান বিথী, সদস্য আদিবা হুমায়রা, গণসংহতি আন্দোলন জেলার অন্যতম সংগঠক তুষার আহমেদ, শিক্ষক স ম আজাদ, সমাজকর্মী নাহার চাকলাদার, জেলা ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক প্রেমা সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘‘ধর্ষণ সংঘটিত হওয়ার পিছনে ক্ষমতা, বিচারহীনতা, প্রাতিষ্ঠানিক-সামাজিক শিক্ষার অভাবই দায়ী। আরো গুরুত্বপূর্ণ যে কারণ, সেটি হলো ধর্ষণের পর স্থানীয়ভাবে মীমাংসার প্রবণতা। আমরা বলতে চাই, ধর্ষণ কোনো মীমাংসার বিষয় নয়। এটি ফৌজদারি অপরাধ এবং আদালতেই এর বিচার করতে হবে।’’
বক্তারা আরো বলেন, ‘‘নারী ও শিশুর প্রতি যৌন সহিংসতা এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। নাগরপুরে ঘটে যাওয়া এই নির্মম ঘটনা শুধু একটি পরিবারের ওপর নিপীড়ন নয়, এটি সমগ্র সমাজের বিবেকের ওপর আঘাত।’’ তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার তদন্ত দাবি করেন এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুনমানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ জনগণ অংশ নেয়। সমাবেশ থেকে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় প্রায় ৭ মাস আগে এক কিশোরীকে তার বাবা-মা বাড়ি না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী চাচা ফরহাদ খান ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন। কিশোরীর হাত ও মুখ বাঁধা থাকার কারণে চিৎকার করতে পারেনি। পরে ঘটনা কাউকে জানালে কিশোরীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ফরহাদ খান চলে যায়। ভয় পেয়ে এ ঘটনা কাউকে জানায়নি কিশোরী।
এ ঘটনার কয়েক দিন পর কিশোরী তার বাড়ির উঠানে চেয়ারে বসা থাকা অবস্থায় পিছন থেকে ঝাপটে ধরে ফরহাদ খান এবং তাকে টেনে ঘরের ভেতর নিয়ে মুখ চেপে ধরে আবার ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সব খুলে বলে।
গত ১৫ মে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেন।
মন্তব্য করুন