বরগুনায় গ্রামবাসীর গুলিতে ডাকাত নিহত

নিউজ ডেস্ক: বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের আফজাল মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাতদলকে ধাওয়া দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এ সময় গ্রামবাসীর লাইসেন্সকৃত বন্দুকের গুলিতে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আজ রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১টায় বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ওই ডাকাত মারা যায়। নিহত ডাকাতের নাম মো. আনোয়ার হোসেন (৫০) ওরফে রিপন। তিনি পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের লক্ষণা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (২৪ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের আফজাল মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এ সময় সংঙ্গবদ্ধ ডাকাতদল গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সুমন জমাদ্দারের লাইসেন্সকৃত বন্দুক থাকায় তিনিও পাল্টা গুলি চালান। এ সময় ডাকাত আনোয়ার গুলিবিদ্ধ হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
বিষয়টি বামনা থানায় জানালে পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ আনোয়ারকে উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অস্ত্র ও গুলি জব্দ করে পুলিশ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনসুমন মজুমদার জানান, এলাকাবাসীর চিৎকার ও ডাকাতের গুলির শব্দে তিনি লাইসেন্সকৃত বন্দুক নিয়ে বাহিরে নেমে ধাওয়া করলে ডাকাতরা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় তিনিও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ডাকাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। গ্রামবাসীর জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় বলেও জানান সুমন মজুমদার।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, নিহত ডাকাত আনোয়ার হোসেনের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ৪টি মোবাইল পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন