বগুড়ায় দুদক’র সাবেক তিন চেয়ারম্যান ও ডিজি’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

কোর্ট রিপোর্টার : বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও সেই মামলায় সাক্ষী প্রদানসহ জাল কাগজ তৈরি করে সাজা প্রদানে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার অপরাধে দুদক’র সাবেক ৩ চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বগুড়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়া সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুরের মোঃ বুলবুল আহমেদের ছেলে মোঃ আতিকুর রহমান। আদালতের বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান বাদির জবানবন্দী গ্রহন করেন এবং বাদির নালিশ দরখাস্তে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর প্রতি নির্দেশ দেন।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক ৩ চেয়ারম্যান যথাক্রমে হাসান মশহুদ চৌধুরী, মোঃ হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসান মনজুর এবং সাবেক মহাপরিচালক জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আসামিরাসহ আরও অজ্ঞাতনামা ষড়যন্ত্রকারী জাল-জালিয়াতি চক্রের সদস্য। তারা ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী তৈরির মাধ্যমে তৎকালীন সরকার প্রধানদেরকে খুশি করে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য একই উদ্দেশ্যে জিয়া অরফোনেজ ট্রাস্ট মমলায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুনআসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় জাল কাগজ তৈরি, মিথ্যা সাক্ষী প্রদানসহ নিরপরাধ ব্যক্তিকে দোষী প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল করে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা প্রদানসহ হয়রানি করার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের মধ্যদিয়ে দেশের আইনের শাসন ফিরে আসার পর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদ জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল আসামিকে খালাস প্রদান করেন। উক্ত খালাসের রায়ে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ পর্যবেক্ষণে বলেছেন “ এটি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মুলক মামলা ছিল।
উক্ত রায় ও পর্যবেক্ষণটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বাদি বিষয়টি বা অবহিত হতে পারেন যে, আসামিরা জাল কাগজ সৃষ্টি করে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা সহ মিথ্যা মামলায় মিথ্যা সাক্ষী প্রদান করে সাজা প্রদানের অভিযোগ এনে বাদি ওই ৪ আসামির বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। বাদি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. মোঃ আব্দুল ওহাব।
মন্তব্য করুন