চলনবিলের ইরি-বোরো ধান গেরস্তের বাড়িতে পৌঁছানোর একমাত্র বাহন মহিষের গাড়ি

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : গত মঙ্গলবার দেশের সর্ববৃহৎ চলনবিল ঘুরে এবং দেখে মনে পড়ে গেল গায়ক আব্দুল আলীমের সেই গানের কলি “ওকি গাড়িয়াল ভাই হাকাও গাড়ি তুমি চিল মারির বন্দরে-রে”। ৯টি উপজেলা নিয়ে চলনবিল এলাকা গঠিত। আর ওই এলাকাগুলোতে এখন পুরোদমে ইরি-বোরো ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। বিল এলাকার কর্দমাযুক্ত জমি থেকে ধান বাড়ির উঠানে নিয়ে আসার জন্য একমাত্র বাহন মহিষের গাড়ি।
গারোয়ানরা গাড়িতে ধানের আটি বোঝাই দিয়ে মনের আনন্দে ওই গানগুলোই গাচ্ছে আর দুর্গম পথ পাড়ি দিচ্ছে। বিলপাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিষের গাড়ি নিয়ে তারা গ্রামগুলোতে এসেছে। ১০ থেকে ১৫ দিন এক গেরস্তের বাড়িতে অবস্থান করে গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তির ধান বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে।
নাটোর জেলার লালপুর থেকে আগত আব্দুল মালেক জানান, আমিসহ ৪ জন প্রতিবছর তাড়াশের নাদোসৈয়দ পুর এলাকায় এসে মহিষের গাড়ি দিয়ে ধান বহনের কাজ করে থাকি। তিনি আর ও জানান, আমরা ১ বিঘা জমির ধান বহন করে গেরস্তের বাড়িতে পৌঁছে দিলে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পেয়ে থাকি। তবে দূরত্ব অনুযায়ী দাম কম বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঅপর গারোয়ান খাদেম আলী জানান, যখন কাদা মাটিতে বোঝাই গাড়ি আটকে যায় তখন কষ্টের শেষ থাকে না। তবে এসময় অন্যান্য গায়োয়ান ও এলাকার মানুষ সহযোগিতা করেন। তিনি আর ও জানান, সারাদিন একটানা ধান বহন করতে পারলে ৩ বিঘা জমির ধান বহন করা সম্ভব। ১৫ দিন ধান বহন করতে পারলে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করা যায়। এতে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হই। এই জন্য প্রতিবছর এই মৌসুমে বিল এলাকায় আসি।
মন্তব্য করুন