প্রেমের ফাঁদে শারীরিক সম্পর্ক করে ভিডিও ধারণ,ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ

নিউজ ডেস্ক: মাদারীপুর সদর উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক মুসলিম তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে সে ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছেন রুপম বৈদ্য (২২) নামে এক তরুণ। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্লাকমেইলে করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে রুপম বৈদ্যকে আটক করেছে পুলিশ। রুপম মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তাফাপুর ইউনিয়নের বড় মেহের গ্রামের রনি বৈদ্যর ছেলে।
বুধবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে রুপম বৈদ্যর সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় শরিফা খাতুনের (ছদ্ম নাম)। ওই তরুণী মুসলিম হওয়ায় রুপম তার পরিচয় গোপন রেখে মুসলিম সেজে প্রেমের অভিনয় করে। এক পর্যায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে গোপনে ভিডিও ধারণ করে।
মেয়েটি বিয়ের কথা বললেই তালবাহানা শুরু করে রুপম। এছাড়া তাদের গোপন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণও করে। পরে মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে রুপম মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। মেয়েটি ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হলে রুপম মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
একপর্যায় মেয়েটি তার পরিবারকে বিষয়টি অবগত করলে পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। স্থানীয়রা মঙ্গলবার (২০ মে) রুপমকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
আরও পড়ুনস্থানীয় যুবক হামজা বলেন, “আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রুপম বৈদ্য এক মুসলিম মেয়েকে ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে। পরে তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।”
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, “আমার সাথে রুপম বৈদ্য প্রতারণা করছে। আমি ওর ফাঁসি চাই। আমার কাছে পরিচয় গোপন করে সে মুসলিম দাবি করে আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করেছে। খারাপ কাজ করেছে। সেগুলো গোপনে ভিডিও করে রেখেছে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তার পরিচয় প্রকাশ করে এবং আমাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। সে আমাকে বলে তুই হিন্দু হলে তোকে আমি বিয়ে করব। এমনকি আমাকে হিন্দু হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে সে।”
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আদিল হোসেন বলেন, “ব্লাক মেইল করে ধর্ষণের অভিযোগে রূপম বৈদ্য নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
মন্তব্য করুন