ভিডিও শনিবার, ১০ মে ২০২৫

সচেতন থাকতে আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা

তপ্ত রোদের দখলে প্রাণ ও প্রকৃতি, তাপে চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম

তপ্ত রোদের দখলে প্রাণ ও প্রকৃতি, তাপে চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম

স্টাফ রিপোর্টার : মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ ও খড়ায় পুড়ছে বগুড়াসহ গোটা দেশ। তপ্ত রোদের দখলে প্রাণ ও প্রকৃতি। গত দুই দিন হলো দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৮ থেকে ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত। তীব্র তাপপ্রবাহে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতা কমলেও মিলছে না স্বস্তি। এই অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ শুধু জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটি প্রাণিকূল, কৃষি, শিক্ষা ও অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলছে।

এই তাপপ্রবাহ রোববারও অব্যাহত থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে সচেতন থাকতে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত দুইদিন হলো দেশের বেশিরভাগ এলাকার ওপরদিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী ও তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রার সর্বোচ্চ পারদ উঠেছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বগুড়ার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ১৩ মে’র আগে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলেও সতর্ক করেছেন সূত্রটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অন্তত টানা ৫ দিন কোনো এলাকায় গড় তাপমাত্রার চেয়ে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি অব্যাহত থাকলে ঐ ঘটনাকে দাবদাহ বলা হয়।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু দাবদাহ ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি দাবদাহ এবং ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র দাবদাহ হিসেবে বিবেচনা করে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

টানা তীব্র তাপপ্রবাহে গরম ও জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে বৃদ্ধি পাওয়া অস্বস্তিতে আশঙ্কা বেড়ে গেছে হিট স্ট্রোকের । এ অবস্থায়  পর্যাপ্ত পানি পান করা, রোদ এড়িয়ে চলা, সুতি কাপড় পরিধান করা, বিশেষ করে  শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

আরও পড়ুন

গত কয়েকদিন হলো ৪০ ছুঁই ছুঁই করছে তাপমাত্রার পারদ। সূর্যদহনে যেন আগুন ঢেলে দিচ্ছে প্রকৃতিতে। রোদ নয় যেন আগুন নামছে আকাশ থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত। টানা দাবদাহে চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।  কিন্তু কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা মিলছে না।

এমন তীব্র দাবদাহে দুর্বিষহ অবস্থা পার করছেন দেশের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। ধানকাটা মৌসুমে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। এরই মধ্যে অনেক এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। নলকূপ ও সেচযন্ত্রে পানি উঠছে না। অন্যদিকে গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে ডাব,  তরমুজ, দইয়ের দাহিদা বেড়েছে। সেই সাথে দাম বেড়েছে এই পণ্যগুলোর। এদিকে দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিহীনতায় কৃষি ও মাছ চাষ দু:চিন্তায় পড়েছেন  চাষিরা। এছাড়া গরমে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগব্যাধি।

বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায় আজ শনিবার (১০ মে) বগুড়ায় মৌসুমের ২য় সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল  ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার ছিল ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনেও দেখা মিলবে না কাঙ্খিত বৃষ্টির।  সবমিলিয়ে  প্রচন্ড গরম আর তীব্র তাপদাহ সহ্য করতে হবে বগুড়াসহ গোটা দেশকে এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় দস্যুতা ও প্রতারণা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার চার

বগুড়ার গাবতলীর পদ্মপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন দেশ সেরা

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ছাত্রলীগ সমর্থক সজিবের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা, জুলাই গেজেটে নাম প্রকাশ

অবশেষে নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ

বগুড়ার শেরপুরে কৃষকের ভুট্টা লুটের অভিযোগ

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সূর্য দহনে পুড়ছে রাজশাহী