সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চাচাকে অপহরণ করতে গিয়ে ভাতিজাসহ তিন অপহরণকারী আটক

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : ভাতিজা ও তাদের বন্ধুরা মিলে চাচা সিদ্দিকুল ইসলামকে অপহরণ করার সময় স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে ৩ অপহরণকারী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা পারকুল গ্রামের বাজারের পাশে।
ধৃত অপহরণকারীরা হলো- উপজেলার গয়হাট্টা পারকুল গ্রামের আছাব আলী বুদ্ধুর ছেলে আলহাজ খন্দকার, একই উপজেলার দক্ষিণ পুস্তিগাছ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ফারুক আহমেদ ও বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলার জোড় শিমুল গ্রামের মাহফুজুর সরকারের ছেলে জিহাদ সরকার। একটি প্রাইভেটকারে অপহরণকারীরা সিদ্দিকুলকে জোরপূর্বক উঠানোর সময় তার আর্তচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে গাড়িটিকে ঘিরে ধরে। এসময় অপহরণকারীদের একজন পালিয়ে যায়। অপর কথিত অপহরণকারীদের আটক করে রাতেই উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন জনতা।
অপহরণ চেষ্টার শিকার সিদ্দিকুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় বাড়ির পার্শ্ববর্তী পারকুল বাজারের একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে তার ভাতিজা আলহাজ খন্দকার কথা আছে বলে তাকে একটু দূরে ডেকে নেয়। এসময় ভাতিজার সাথে আরও কয়েকজন যুবক ছিল। তারা আমাকে মারধর করে পাশে অপেক্ষমান একটি প্রাইভেটকারে জোর করে তোলার সময় স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় তিনি রক্ষা পান।
আরও পড়ুনসিদ্দিকুল ইসলাম আরও জানান, তার ভাই আছাব আলী বুদ্ধু তাদের পরিবারের লোকজনকে বিদেশে নিয়ে চাকরি দেবার কথা বলে কয়েক দফায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু কাউকে বিদেশে নিতে পারেননি। টাকাও ফেরত দেননি। এই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আছাব আলীকে বার বার চাপ দেওয়ায় তাদের মধ্যে গোলযোগ হয়। এই গোলযোগের জের ধরে আছাব আলী ও তার ছেলে যোগসাজশ করে তাকে (সিদ্দিকুলকে) অপহরণ করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। স্থানীয় জনতা অপহরণকারীদের প্রাইভেট কারসহ আটক করার পর ৯৯৯ এ ফোন দিলে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা আটককৃত উল্লেখিত ৩ অপহরণকারী ও প্রাইভেটকারটি থানায় নিয়ে আসে। এরপর গত রোববার রাতেই থানায় গিয়ে সিদ্দিকুল ইসলাম কথিত ৩ ব্যক্তির নামে অপরহণ মামলা দায়ের করেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কথিত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদেরকে আজ সোমবার (৫ মে) বিকেলে সিরাজগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন