মধ্যরাতে সরিয়ে দেওয়া হলো খালেদা জিয়ার ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে
_original_1746274182.jpg)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সোমবার (৫ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন। ওই ফ্লাইটে দায়িত্ব পালনের কথা ছিল এমন দুই কেবিন ক্রুকে শুক্রবার মধ্যরাতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপোন।
বিমান সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০২ ফ্লাইটটি। ফ্লাইটে খালেদা জিয়া, তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা থাকবেন।
আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার (২ মে) দুপুরে ওই ফ্লাইটে চিফ পার্সার নিশি, ফ্লাইট পার্সার আল কুবরুন নাহার কসমিক, ফ্লাইট পার্সার মো. কামরুল ইসলাম বিপোন এবং জুনিয়র পার্সার রিফাজের নাম চূড়ান্ত করে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগের সংশ্লিষ্ট ইউনিট। তবে গোয়েন্দা তথ্যে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উঠে আসায় শুক্রবার মধ্যরাতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে দুজনের নাম বাতিল করা হয়।
ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ ও পরে ফ্লাইট থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, ফ্লাইটে কসমিক ও বিপোনের পরিবর্তে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট পার্সার ডিউক এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আনহারা মারজানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে আল কুবরুন নাহার কসমিক নিয়মিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে সরকারি সুবিধা ভোগের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চাকরি জীবনে তিনি ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। শাস্তি হিসেবে একাধিকবার গ্রাউন্ডেড হয়েছেন।
অপরদিকে, জুনিয়র পার্সার কামরুল ইসলাম বিপোন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দলের নানা কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট পালনের জন্য নিয়মিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দেওয়া, শেখ কামালের জন্মদিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা এবং বিমানে শেখ রাসেল দিবস পালনের অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাদের সরানো হয়েছে এমন তথ্য আমার কাছে আসেনি। বিমানের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নানা কারণে কাউকে ডিউটি নাও দিতে পারে কিংবা রিশিডিউলিং হতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কারণে অনেক সময় অনেককে সরানো হতে পারে; শত শতজনকে সরানো হয়। তেমন বড় কিছু না হলেও কিংবা সামান্য কিছু পেলেই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে তাদের সরিয়ে দিতে বলা হয়।
মন্তব্য করুন