বগুড়ার শাজাহানপুরের মাঠে মাঠে দুলছে বোরো ধানের সোনালি শীষ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : মাঠজুড়ে থাকা পাকা-আধাপাকা ধানের মনোরম দৃশ্য দেখে কৃষকের চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন আর মুখে হাসি ফুটেছে তবে কাল বৈশাখি ঝড়ের কথা ভেবে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজও পড়েছে। তাই অনেক কৃষক ঝড়ের আগেই ধান-কাটা মাড়াই শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ১২ হাজার ৯শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান পেকেছে। আর মাড়াই করা হয়েছে প্রায় ১শ’ হেক্টর জমির ধান। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ৬ মেট্রিক টন। সে হিসেবে এবার শাজাহানপুর উপজেলায় বোরো ধানের মোট উৎপাদন হবে প্রায় ৭৮ হাজার মেট্রিক টন।
অপরদিকে ধানের বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে খরচ বাদে কৃষক লাভ পাচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার টাকা। তাই ধান চাষিরা বেজায় খুশি। উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের শালিখা গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম জানান, তিনি এবছর ১৯ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ৫ বিঘা জমির ধান মাড়াই করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ফলন পেয়েছেন ২৫ থেকে ২৬ মণ।
যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা। অপরদিকে জমি চাষ করা, সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, নিরানী দেওয়া ও কর্তন বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকা-মাকড় ও রোগ বালাইয়ের আক্রমন কম ছিল। তাই কীটনাশকের খরচ তেমন লাগেনি। ফলনও ভালো হয়েছে। শ্রমিক সংকট আছে কিনা জানতে চাইলে কৃষক আব্দুল হালিম জানান, বর্তমানে শ্রমিক সংকট নাই।
আরও পড়ুনসাড়ে ৪ হাজার টাকা শ্রমিক খরচ দিয়ে প্রতি বিঘা জমির ধান কর্তন ও মাড়াই করা যাচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। তবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে পাকা ও আধাপাকা সব ধান একসাথে কর্তনের হিড়িক পড়ে যায়। তখন শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়।
তবে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় বিগত কয়েক বছরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে ১৮টি কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। এসব হার্ভেস্টার মেশিন কাজে লাগিয়ে কৃষকরা কম খরচে ও অল্প সময়ে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবে।
মন্তব্য করুন