রংপুরের মিঠাপুকুরে ক্ষতিকর রঙ মেশানো শিশুখাদ্যে বাজার সয়লাব

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি : রং মেশানো শিশুখাদ্যে বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে। শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য খাবারে মেশানো নিম্ন মানের এসব রং স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে জানা গেছে। উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে কনফেকশনারি ও মুদি দোকানগুলোতে রং মেশানো খাবার বেচাকেনা করা হচ্ছে। নানা ধরনের রং মেশানো খাবারের মধ্যে রয়েছে চকলেট, জুস, ললিপপ, জেলি, চিপস, আইসললি, আইসক্রিম, মটরশুঁটি ভাজাসহ বিভিন্ন খাবার।
সদর বাজারের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জানান, অনেক ক্রেতা আছেন যারা রং মেশানো চিপস পছন্দ করেন। এ কারণে আমরাও বিক্রি করি। ফাস্ট ফুড বিক্রেতা মেহের মিয়া জানান, চকলেটজাতীয় শিশুখাদ্যে মেশানো রং স্বাস্থ্যসম্মত কিনা এটা আমরা জানা নেই। কারণ আমরা এসব খাবার তৈরি করি না। তবে ব্রান্ড কোম্পানির খাদ্য সামগ্রীর মোড়কে বিএসটিআই’র অনুমোদন রয়েছে।
তবে বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুডজাতীয় খাবার বেচাকেনা করতে দেখা গেছে।
একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিশুরা রঙ্গিন ফাস্ট ফুডজাতীয় খাবারে আসক্ত। বিশেষ করে চকলেট, চিপস ও জুসজাতীয় রঙ্গিন খাবার শিশুদের বেশি পছন্দ। এ কারণে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য খাবারে রং মিশিয়ে বাজারজাত করছে।
শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদ জানান, শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য উপহার সামগ্রীর লোভ দেখিয়ে খাবার বেচাকেনা এক ধরনের অপরাধ। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শিশুখাদ্য আইন রয়েছে কিন্তু প্রয়োগ হয় না। এ কারণে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এসব রঙ্গিন খাবারে বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মতিয়ার রহমান বলেন, খাবারে ব্যবহারের জন্য রং আছে ঠিকই, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কাপড়ের রং শিশুখাদ্যে মেশানো হয়। এসব রং মিশ্রিত খাবার শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তিনি জানান, কৃত্রিম রং মিশ্রিত খাবারে ক্যান্সার, এলার্জিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. এমএ হালিম শিশুদের স্বাস্থ্য ও মেধার বিকাশ ঘটাতে বাজারের খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন