বগুড়ার ধুনটে সালাম দেওয়াকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষসহ ৩ জনকে কপিয়ে জখম, গ্রেফতার ১

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনটে উচ্চ স্বরে সালাম দেওয়ায় মাদরাসা অধ্যক্ষসহ ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সজল খান (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনাস্থল থেকে সজল খানকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে। সজল খান উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের মুজা খানের ছেলে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৯টায় উপজেলার মাটিকোড়া আল-সালেহ লাইফ লাইন মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলার মাটিকোড়া আল-সালেহ লাইফ লাইন মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ (৪৭) ও শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন (২২) ও মাটিকোড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন পলাশ (৪৩)। আহতদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ ও শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিনের সাথে রাত প্রায় ৯টায় মাদরাসার পাশের রাস্তায় সজল খানের দেখা হয়। অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ এ সময় সজল খানকে সালাম দেন। তখন উচ্চ স্বরে সালাম দেওয়ার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষকে রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে সজল খান। এ সময় শিক্ষার্থী আব্দুল মোমিন অধ্যক্ষকে রক্ষার চেষ্টা করলে সজল খান ওই শিক্ষার্থীকেও কুপিয়ে আহত করে।
আরও পড়ুনঅধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীকে রক্ষার চেষ্টাকালে মনোয়ার হোসেন পলাশকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌছে সজল খানকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে রাতেই থানায় সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় মাটিকোড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মনোয়ার হোসেন পলাশ বাদি হয়ে সজল খানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় সজল খান যে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ধুনট থানা থেকে সজল খানকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন