ভিডিও শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

পায়ে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ

পায়ে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ, ছবি: দৈনিক করতোয়া

স্টাফ রিপোর্টার : অনানুষ্ঠানিকভাবে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ। ব্রিজটির মূল অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হওয়ায় গত বুধবার দু’পাশে মাটি ফেলে ভরাট করে মানুষের চলাচলের জন্য ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ব্রিজটিতে দু’একটি মোটরসাইকেল চলাচল করলেও এখনই কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এদিকে সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হতে বা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিজটি চালু হতে অপেক্ষা করতে হতে পারে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজটির দু’পাশে এখনও কোন এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ হয়নি। কোনমতে বিটবালু ফেলে পায়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্রিজের ওপর শ্রমিকরা নির্মাণ সামগ্রী রেখে ফুটপাত ও রেলিংসহ অন্যান্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝখানে জায়গা খালি করে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে ব্রিজটির উভয়মুখের রাস্তা দখল করে যেসব ব্যবসায়ী স্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন তারাও নির্বিঘ্নে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও নতুন বিটবালু ফেলে ভরাট করা জায়গাও দখলে নিয়েছেন নতুন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ২০২৩ সালের ২২ মে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর দু’বছর পেরিয়ে গেলেও কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সময়মত ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেননি। ব্রিজটির কাজ সময়মত শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন পূর্ব বগুড়ার কয়েকটি উপজেলার দশ লক্ষাধিক মানুষ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়া কার্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটির নকশা ও অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন করে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ২২ কোটি টাকার অনুমোদন পাওয়া যায় এবং ওই বছরের নভেম্বরেই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা ছিল। ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৬৮ মিটার আর চওড়া ১২ দশমিক ৩ মিটার। এরমধ্যে সেতুর দু’পাশে আড়াই মিটার করে হাঁটাপথ (ফুটপাত) থাকবে। ব্রিজটি দৃষ্টিনন্দন করার পাশাপাশি আধুনিকভাবেও নির্মাণ করা হবে।

আরও পড়ুন

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়া কার্যালয়ের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মনসুর আহমেদ বলেন, ব্রিজটির নির্মাণ কাজের সময় শেষ হলেও তা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শেষ করতে পারেননি। এ জন্য আবারও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। ব্রিজটি দিয়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, এখনও ব্রিজটির ফুটপাত, রেলিং, এ্যাপ্রোচের কাজসহ বেশকিছু কাজ বাকি। ঠিকাদার যত দ্রুত কাজ করতে পারবেন সেই অনুযায়ী ব্রিজটি সম্পূর্ণভাবে যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে নির্মিত ফতেহ আলী ব্রিজকে ২০১৮ সালের আগস্টে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় তিন মাস পর ব্রিজটির ওপর দিয়ে ভারি যান চলাচল বন্ধে উভয়পাশে তিনটি করে ছ’টি পিলার বসানো হয়। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ খেলতে পৌঁছল নিউজিল্যান্ড

মাগুরার সাবেক কাউন্সিলর মীর বাবুকে কুপিয়ে জখম

মেসিকে নিয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার তিন দেশ সফরে আসছে আর্জেন্টিনা

বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে জুলাই গণহত্যার আসামিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবি

ফুলশয্যার রাতেই বরের মৃত্যু, বাকরুদ্ধ নববধূ

নাফ নদী থেকে আটক ৪ রোহিঙ্গা জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি